১৩ মামলা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর বিরুদ্ধে
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উত্তরের মেয়র পদের প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর হলফনামায় তার বিরুদ্ধে ১৩টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েব সাইট থেকে এ তথ্য মিলেছে।
তথ্য মতে, মিন্টুর বিরুদ্ধে বর্তমানে ১৩টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচটি মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন। বাকিগুলো চলমান অবস্থায় আছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছিলো। যার দুইটিতে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন, আর একটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি নিজেকে এগ্রিকালচারাল ইকেনোমিকস এবং ট্রান্সপোর্টেশন ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স অব সায়েন্স ডিগ্রিধারী বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, নর্থ সাউথ সিড লিমিটেডে, এ অ্যান্ড এ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, এমএফ কনজ্যুমারস লিমিটেড, কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেড, লাল তীর সিড লিমিটেড, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, প্রোটন সার্ভিস সেন্টার লিমিটেডসহ ১৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী তিনি।
মিন্টুর বাৎসরিক আয় ৫ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫০৩ টাকা দেখিয়েছেন। এরমধ্যে কৃষিখাত থেকে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৯৯ হাজার ৫২২ টাকা, বাড়ি, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে ৯ লাখ ৪ হাজার ৫শ টাকা আয় হয়।
এছাড়া, ব্যবসা থেকে তার আয় হয় ৯৩ লাখ টাকা। শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে মিন্টুর আয় হয় ২৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৭০ টাকা, বিভিন্ন আইনি পরামর্শ বা শিক্ষকতা থেকে ২ লাখ ৭২ হাজার ৮২৩ টাকা এবং অন্যান্য খাতের মূলধনী লাভ থেকে আয় দেখিয়েছেন ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৮ টাকা।
তিনি অস্থাবর সম্পত্তিতে নিজ নামে নগদ টাকা ৮ লাখ ৫০ হাজার ৩২০ টাকা ও স্ত্রীর নামে নগদ টাকা ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৭৪৩ টাকা দেখিয়েছেন। তার বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে ২০০ মার্কিন ডলার। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৬৮ লাখ ৮৯ হাজার ২৬৩ টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৬২ হাজার ৯৪২ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ার রয়েছে ৪০ কোটি ৫৮ লাখ ৯০ হাজার ৬৫০ টাকা, স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৯১ হাজার ১৬৯ টাকা। পোস্টাল, সার্ভিস সার্টিফেকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫৪ টাকা। মোটরগাড়ীতে বিনিয়োগ ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৬৬২ টাকা দেখিয়েছেন। তার নিজের নামে ২ লাখ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ২৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫৫১ টাকা স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতু রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
মিন্টুর ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ৮ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৮ টাকার। তার স্ত্রীর রয়েছে ৫ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সমাগ্রী। নিজের নামে ১১ কোটি ৫১ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৩ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৭১ লাখ ১২ হাজার টাকার অন্যান্য সম্পদ দেখিয়েছেন মিন্টু।
এই ব্যবসায়ী নেতার মোট স্থাবর সম্পত্তি ৪ কোটি ৫০ লক্ষ ৭ হজার ৮৪৯ টাকার। এরমধ্যে মিন্টু নিজের নামে স্থাবর সম্পত্তি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ১৬৫ টাকার কৃষি জমি ও ৩ কোটি ৮৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৩০ টাকার অকৃষি জমি দেখিয়েছেন হলনামায়। এর বাইরে নিজের নামে ২৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৫৪ টাকার বাড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তার স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পত্তির পরিমান দেখিয়েছেন অকৃষি জমি ৩১ লাখ ২৮ হাজার টাকার ও ১৯ লাখ ৪১ হাজার টাকা মূলের বাড়ি।
আব্দুল আউয়াল মিন্টুর হলফনামায় ছেলের কাছে থেকে ১ কোটি ৮১ লাখ টাকার ঋণসহ মোট ৫ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৩১৭ টাকা দায়-দেনা দেখিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য চালু নেই