১০ বছরে পা দিল শাকিব-অপুর দাম্পত্য জীবন

গোপনে বিয়ে করেছিলেন তারা। এরপর কেটে গেল ৯ বছর। হঠাৎ গেল ১০ এপ্রিল সন্তানসহ মিডিয়ার সামনে হাজির স্ত্রী। জানান, তাদের দাম্পত্য জীবনের কথা। মিডিয়ার সামনে এভাবে সম্পর্কের খবর ফাঁস হওয়ার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মেনে নিতে না পারলেও পরবর্তীতে স্ত্রী-সন্তান দুজনকেই মেনে নেন স্বামী।

এতক্ষণ যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি, সেটা কোনো চলচ্চিত্রের কাহিনী নয়, আর যাদের কথা বলছি তারা ঢালিউড তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। আজ তাদের নবম বিবাহবার্ষিকী।

তবে বিবাহবার্ষিকীতে একসাথে থাকতে পারছেন না শাকিব-অপু। পাবনায় রংবাজ ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত শাকিব, আর অপু একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়কে নিয়ে ঢাকার বাসায়।

২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। তাদের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজনা ব্যবস্থাপক মামুনুজ্জামান মামুন।

শাকিব-অপুর বিয়ের নেপথ্যে মামুন জানান, ডিপজলের প্রযোজনায় কোটি টাকার কাবিন ছবি থেকেই শাকিব ও অপুর মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর চাচ্চু ছবির শুটিং। ততদিনে তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক আরো গাঢ় হয়ে ওঠে। এর মধ্যে একদিন সিদ্ধান্ত হলো, অপু আর অভিনয় করবেন না। ভারতে গিয়ে পড়ালেখা শেষ করবেন। তারপর দুজনের বিয়ে হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অপু ভারত চলে যান।

বেশ কিছুদিন পর হঠাৎ করেই রাজ্জাকের পরিচালনায় একটি ছবিতে সম্রাটের বিপরীতে কাজ করতে দেশে আসেন অপু। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি শাকিব। তাকে না জানিয়ে ছবিতে কাজ করার কারণে অভিমান করে অপুর সঙ্গে কয়েকদিন কথা বলা বন্ধ করে দেন তিনি।

মামুনুজ্জামান মামুন বলেন, তাপসী ঠাকুরের ‘মনে প্রাণে আছো তুমি’ ছবির শুটিং চলাকালে তাদের মান-অভিমান ভাঙে। ওই ছবির শুটিং চলা অবস্থায়ই শাকিব-অপু বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। আমাকে বিষয়টি জানিয়ে তারা বলেন, ‘বিয়ের খবর গোপন থাকবে’। বিয়ের পুরো বিষয়টি তখন কেবল অপুর মেজ বোন লতা ও শাকিবের চাচাতো ভাই মনির জানতেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি ফরিদপুরে শাকিব ভাইয়ের বাড়ির কাছ থেকে মজিবুর রহমান নামে এক কাজি সাহেবকে নিয়ে আসি। শাকিব এখন যে বাসায় থাকেন, ওই বাসায় বিয়ের ব্যবস্থা হয়। আসরের নামাজের ঠিক আগে আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় আমি অপুর উকিল বাবা হিসেবে কাবিননামায় স্বাক্ষর করি। লতাও অপুর পক্ষে স্বাক্ষর করেন। আর শাকিবের চাচাতো ভাই মনির স্বাক্ষর করেন তার পক্ষে।’

মামুনুজ্জামান মামুন বলেন, ‘ওই দিন রাতেই দুই পরিবারের সদস্য বিয়ের খবর জেনে যান। তারা খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। শাকিব ভাই ও অপুর বাবা-মা বিষয়টি মানতে চাননি। পরে আমি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাদের বুঝিয়েছি।’

উল্লেখ্য, শাকিব-অপু জুটি বেঁধে ৭২টি ছবিতে অভিনয় করেন। অপুর সঙ্গে শাকিবের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এবং স্ত্রী হিসেবে অপুকে মর্যাদা দেয়ার পর শাকিব জানান, অপু আর অভিনয় করবে না।

স্বামী-সন্তান-সংসার সামলাবে। আর শাকিবের এমন সিদ্ধান্তে অপু মৌন সম্মতি দিয়েছেন। এই জুটির অধিকাংশ ছবি ব্যবসা সফল। তাদের অভিনীত সর্বশেষ ছবি হচ্ছে, সম্রাট। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে রাজনীতি নামের একটি ছবি।



মন্তব্য চালু নেই