১০০ টাকার সেই ভাড়া বাড়িটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ প্রেসক্লাব
৬৪ বছর আগের কথা। ১৮ তোপখানা রোডের দোতলা যে ভবনটি মাত্র ১০০ টাকায় ভাড়া নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিলো সেই বাড়িতেই নির্মিত হবে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ প্রেসক্লাব।
৬২ বছর আগে তৎকালীন যুক্তফ্রন্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী তোপখানা রোডের ওই ভবনটি পূর্ব পাকিস্তান জাতীয় প্রেসক্লাবের নামে বরাদ্দ দেয়। তৎকালীন যুক্তফ্রন্টের তরুণ শিল্পমন্ত্রী হিসেবে ওই সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ইতিহাসের নানা পরিক্রমায় (বৃহস্পতিবার) জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় প্রেসক্লাবে ৩১ তলাবিশিষ্ট প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সিনিয়র সাংবাদিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের মতে, জাতীয় প্রেসক্লাবের ইতিহাসে এমন দিন আর কখনও আসেনি। গণমাধ্যমের ইতিহাসে এ দিনটি ‘রেড লেটার ডে’ হিসেবে পরিগণিত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রেসক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এমন আনন্দময় দিনটিতে শরিক হতে যেমনটি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তেমনি তার সরকারের স্থানীয় সরকার ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক, তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ একাধিক সচিব ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ এ দিনটিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি ও বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ছাড়াও ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্য সাইফুল আলম, হাসান আরেফিন, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ ছাড়াও সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে আবেদ খান, মোজাম্মেল বাবু, শ্যামল দত্ত, আখতার ইউসুফ, শাহজাহান মিয়া ও জাতীয় প্রেসক্লাবের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
যা থাকছে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্সে
প্রস্তাবিত ৩১ তলাবিশিষ্ট ভবনের প্রতি তলার আয়তন ১৯ হাজার ৮০০ ফুট। প্রথম ১০তলা পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রেসক্লাব, কনফারেন্সের ভাড়ার জন্য ব্যবহৃত হবে। সিঁড়ি ও লিফটের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে। ১১তলা থেকে ২৮তলা পর্যন্ত বিভিন্ন সংবাদপত্র, দেশি-বিদেশি সংস্থা, টিভি ও রেডিওর অফিসের জন্য ভাড়া দেয়া হবে। ২৯ থেকে ৩১তলা পর্যন্ত হেলথ ক্লাব, সুইমিংপুল, জিমনেসিয়াম, ইনডোর গেমস, গেস্ট হাউজ, ডাইনিং হল ও সিনেপ্লেক্স থাকবে। পুরো কমপ্লেক্সের দুটি বেজমেন্টে গাড়ি পার্কিং হবে, সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৪২২টি গাড়ি থাকবে।
গৃহায়ণবিদ নামে একটি সংস্থা বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্সের ডিজাইন করে। মিডিয়া কমপ্লেক্সের প্রকল্প উপদেষ্টা হিসেবে স্থপতি কবি রবিউল হুসাইন, স্থপতি আবদুর রশীদ, স্থপতি সামসুল ওয়ারেস ও ভাস্কর মজিবুর রহমান ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই