হিন্দু ব্যক্তির শেষকৃত্যে যা করলেন মুসলিম যুবকরা, জানলে অবাক হবেন!
হিন্দু-মুসলিমের বিবাদকে কেন্দ্র করে বহুবার রক্তাক্ত হয়েছে ভারতবর্ষ। তবে প্রতিবারই ধর্মবিদ্বেষের উর্ধ্বে গিয়ে দেখা দিয়েছে মনুষ্যত্বের জয়গান।
সেই মনুষ্যত্ব রয়েছে বলেই হয়তো এখনো অগ্রসরমান সভ্যতা। কিছুদিন আগে দেখা গেছে এক মুসলিম ব্যক্তির নামাজ পাঠে দেরি হয়ে যাচ্ছিল বলে হিন্দু অটো ড্রাইভার পয়সা না নিয়েই তাকে পৌঁছে দিয়েছেন মসজিদে।
সেই ব্যক্তি তার ফেসবুক টাইমলাইনে নিজেই শেয়ার করেছিলেন ওই ঘটনা। সম্প্রতি আবারও সামনে এল এমনই এক ঘটনা, যে ঘটনা তুলে ধরেছে এক চিরন্তন সত্য। ধর্ম নয়, মানুষই আগে। ঘটনাস্থল ভারতবর্ষের মহারাষ্ট্র।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের খলিল পন, ফাহাদ দাবির, নওয়াজ দাবির, রহিল দাবির, রস্দ খান, ফারুক খান এবং মহম্মদ শেখ— এই সাতজন অংশগ্রহণ করলেন এক হিন্দু ব্যক্তির শেষকৃত্যে।
প্রয়াত ব্যক্তির স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই তিনকূলে। বিপদের বন্ধু হিসেবে তার স্ত্রীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন ওই সাতজন।
তার মৃত দেহ শশ্মানে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দাহ পর্যন্ত করেন তারা। রাত তখন তিনটা বাজে। মহারাষ্ট্রের জাতীয় কংগ্রেস পার্টির বিধায়ক জিতেন্দ্র আওহাদ ঘটনাটি তার ফেসবুক টাইমলাউনে শেয়ার করে সবার প্রকাশ্যে আনেন।
তিনি ছবির সঙ্গে লেখেন, ‘যেখানে একদিকে ওড়িশার এক গ্রামে আদিবাসী ব্যক্তি তার স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে ১২ কিমি পথ চলেছেন, সেখানে আবার মহারাষ্ট্রের কিছু মুসলিম যুবক মিলে সেই কাজই করলেন, যা মানুষ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের করা উচিত। বৈচিত্র্যের ভারতবর্ষে দুই প্রান্তের দুই চিত্র যেন অনেকগুলো প্রশ্ন রেখে যায় পাঠকের উদ্দেশ্যে। -এবেলা
মন্তব্য চালু নেই