হিন্দুদের উপর হামলা : ৩ আ.লীগ নেতা বহিষ্কার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পবিত্র কাবা শরিফকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করে পোস্ট দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর দুষ্কৃতিকারীদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- প্রচার সম্পাদক আবুল হাসেম, হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক আহমেদ ও চাপৈরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরুজ আলী।

এছাড়া ঘটনা তদন্তে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে একটি দলীয় অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাড. নাজমুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন ও শাহআলম সরকার।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও ঘর-বাড়িতে চালানো হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও তথ্যচিত্রে উস্কানিদাতা এবং জঙ্গি মিছিলে সম্পৃক্ততার গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় ওই তিন নেতাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া অভিযোগ তদন্তে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি দলীয় অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে সরেজমিন তদন্ত করে আগামী সাত দিনের মধ্যে মতামতসহ লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে রসরাজ দাস তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পবিত্র কাবা শরিফ নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করে একটি পোস্ট দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতিকারীরা উপজেলা সদরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০টি মন্দির ও শতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ ঘটনার পর শুক্রবার ভোরে আবারো হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ৫টি গোয়াল ও রান্নাঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।



মন্তব্য চালু নেই