ফেসবুকের কল্যাণে সন্তানকে ফিরে পেলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি পরিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ফেসবুকের কল্যাণে তিন বছর আগে হারিয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী সন্তানকে ফিরে পেয়েছে তার পরিবার। ‘গাজীরবাজার এক্সপ্রেস’ নামের একটি ফেসবুক পেইজের কল্যাণে এ অসম্ভব কাজটি সম্ভব হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে পেইজটির অ্যাডমিন তিন বছর ধরে নিখোঁজ মোহাম্মদ আলীকে (৩০) পরিবারের হাতে তুলে দেন।

মোহাম্মদ আলীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালি জেলার দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া। তার বাবার নাম মৃত মোহাম্মদ হোসেন মুন্সি।

পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় তিন বছর আগে বড় ভাই মোহাম্মদ আশ্রাফ আলীর সঙ্গে পটুয়াখালি থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে চাঁদপুর লঞ্চঘাট এলাকায় হারিয়ে যায় মোহাম্মদ আলী।

নিখোঁজের পর বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজ করেন পরিবারের সদস্যরা। খুঁজতে খুঁজতে কেটে যায় প্রায় তিন বছর।

গাজীর বাজারের ব্যবসায়ী ছাদেকুল ইসলাম সাদেক জানান, প্রায় এক বছর যাবৎ মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবকটি আখাউড়া-আগরতলা সড়কে হেঁটে বেড়াতো আর এলোমেলো কথা বলতো।

স্থানীয় বাজার ও আশপাশের গ্রামের লোকেরা খুশি হয়ে খাবার দিলে খেয়ে নিতো। নাম জিজ্ঞাসা করলে যুবকটি তার নাম মোহাম্মদ আলী বলতো।

এদিকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ‘গাজীরবাজার এক্সপ্রেস’ নামক ফেসবুক গ্রুপে দ্বিজয়পুর গ্রামের ইসহাক মিয়া মোহাম্মদ আলীর একটি ছবি পোস্ট করেন।

গাজীর বাজার এক্সপ্রেস গ্রুপের অ্যাডমিন মো. লিটন মিয়াও ছবিটি পোস্ট দেন। পোস্টে তিনি মোহাম্মদ আলীর তথ্য জানানো জন্য গ্রুপ সদস্যদের অনুরোধ জানান।

পরে গ্রুপের সবার সহযোগিতায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে মোহাম্মদ আলীকে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়।

মোহাম্মদ আলীর বড় ভাই মোহাম্মদ আশ্রাফ আলী জানান, ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে মোহাম্মদ আলীকে হারিয়ে ফেলি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও তাকে না পেয়ে ভাইকে ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত গাজীর বাজার এক্সপ্রেস গ্রুপের কল্যাণে আমার সেই হারানো ভাইকে ফিরে পেয়েছি। -যুগান্তর।



মন্তব্য চালু নেই