হাসিনা-খালেদাকে হত্যার ছক যেভাবে
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করার জন্য মুম্বইতে দলীয় বিধায়কদের বৈঠকে যাওয়ার আগেই রাজনাথ দোভালের সঙ্গে আলোচনা সেরে নেন৷ সূত্রের খবর, মন্ত্রীর কাছে দোভাল একটি প্রেজেন্টেশনও দেন৷ তাতে জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এই রাজ্যে কীভাবে তাদের নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে, তার বিস্তারিত তথ্য ছিল৷
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একটি সূত্র বলছে, রাজনাথ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বলেছেন,পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি নেটওয়ার্ক পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলতে হবে৷ তার জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে যা যা করণীয়, তা করতে হবে৷ প্রয়োজনে অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গেও সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে৷
দোভালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্ধমানের একাধিক জায়গায় প্রচুর মহিলাকেও জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল৷ এটা একেবারে একটি নতুন প্রবণতা৷ তাঁর মতে, এক সঙ্গে এত জন মহিলাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো ঘটনা দেশের অন্য কোথাও ঘটেনি৷
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অন্তত একশো জন মহিলাকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হত৷ শুধু বর্ধমান জেলাতেই নয়, তার লাগোয়া বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদেও জাল পেতেছিল জঙ্গিরা৷ এদের সম্পর্কে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কেন বিন্দুবিসর্গও জানতে পারল না, ৩৮৭ পাতার রিপোর্টে সে ব্যাপারেও বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে৷
অন্য দিকে, এ দিন খাগড়াগড়ে যায় বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চের এক প্রতিনিধি দল৷ এই সংগঠন আদতে শাসকদলেরই অনুগামী৷ স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় দাঁড়িয়ে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ওয়াজেজুল হক বলেন, ‘তদন্তের নামে অনেক মাদ্রাসায় আরডিএক্স, অস্ত্র ইত্যাদি ঢুকিয়ে দিচ্ছে এনআইএ৷ অহেতুক মাদ্রাসার নামে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে৷’ এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যমেরও নিন্দা করা হয়৷ সূত্র : ঢাকা টাইমস
মন্তব্য চালু নেই