হার্টের সুস্থতায় যে খাবার উপকারী

২০১৭ সালের শুরু থেকেই অনেকে স্বাস্থ্যের উন্নতির দিকে বেশ মনোযোগ দিয়েছেন। বেশি পরিমাণ ফল ও শাকসবজি খেয়ে, নিয়মিত ব্যায়াম করে এবং পরিমিত ঘুমিয়ে অনেকেই করেছেন স্বাস্থ্যের উন্নতি। কিন্তু একমাসের মধ্যে কতজনই বা সেই কাজটা করতে পেরেছেন? আপনি যদি এইসব বিষয় থেকে কিঞ্চিত সরে আসেন তবে চিন্তা করবেন না এই ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই আপনি আপনার স্বাস্থ্যের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে হবে একটু খাদ্যাভ্যাস।
মটরশুঁটি : মটরশুঁটিতে আছে প্রচুর পরিমাণে আশ, পটাশিয়াম ও প্রোটিন। এটি মাংসেরও বিকল্প। ভালো স্বাস্থ্যের জন্য এটি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে না, দৈনিক আধা-কাপ খেলেই যথেষ্ট। মটরশুঁটি রক্তে কোলস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। সিদ্ধ করে খাওয়া ছাড়াও সালাদ ও সুপে মটরশুঁটি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
কিমচি : সেদ্ধ করা খাবার দিন দিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কিমচি এক ধরনের খাবার যেটা বিভিন্ন ধরনের সবজি সেদ্ধ করে তৈরি করা হয়। কোরিয়াতে খাবারটি বেশ জনপ্রিয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে কিমচি গ্রহণে মাত্র সাত দিনের মধ্যেই শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টরেল কমে যায়।
আঙ্গুরের জুস : অনেকেই স্বাস্থ্যের উপকারের জন্য ওয়াইন গ্রহণ করে থাকেন। তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রক্রিয়াজাত করা হয়না এমন আঙ্গুরের জুস সবচেয়ে উপকারী। দৈনিক মাত্র চার আউন্স জুস গ্রহণেই উপকার পাবেন। এটি ধমনীতে রক্তের চলাচল বাড়িয়ে দিবে।
ডিম : ডিম শরীরের জন্য খুবই উপকারী। একটি ডিমে থাকে ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৩ গ্রাম ভিটামিন ও মিনারেল। এছাড়া একটি ডিমে পাওয়া যাবে প্রায় ৭০ ক্যালোরি। অনেক বছর ধরে শোনা যাচ্ছিল যে ডিম শরীরে কোলস্টোরেলের মাত্রা বাড়ায়। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডিম শরীরে স্ট্রোকের মাত্রা প্রায় ১২ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
পেঁপে : শরীরকে সুস্থ রাখতে টমেটো বা টমেটোর সালাদ গ্রহণ করে থাকেন অনেকে। কারণ টমেটোতে আছে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন যেটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে টমেটো থেকেও বেশি উপকারী পেঁপে। পেঁপেতে লাইকোপিনের মাত্রা টমেটো থেকেও প্রায় ২ দশমিক ৬ গুন বেশি। দৈনিক কাঁচা বা পাকা পেঁপে ২০০ গ্রাম গ্রহণে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।



মন্তব্য চালু নেই