হলমার্ক দুর্নীতির সাথে ফাঁসছে ট্রান্সকম গ্রুপ!

ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক সাইফুর রহমান ও হলমার্ক গ্রুপের শীর্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে সন্দেহজনকভাবে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের (বিএফআইইউ) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী এই তদন্ত করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ প্রিয়.কম-কে বলেন, এ সংক্রান্ত দুদককে তদন্ত করার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। তবে এ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

দুদক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ (বিএফআইইউ) দুদকের কাছে ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক সাইফুর রহমান ও হলমার্ক গ্রুপের শীর্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে সন্দেহজনকভাবে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। দুদকের হলমার্কের দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী টিমের কাছে এই প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। ঈদুল আজহার পরই এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করবে দুদক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন কর্মকর্তা প্রিয়.কম-কে জানান, এবছর আগস্টের শেষ সপ্তাহে বিএফআইইউ এই তদন্ত করে।

বিএফআইইউ-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক সাইফুর রহমানের কয়েকটি অ্যাকাউন্টে ১৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। ডাচ বাংলা ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও এইচএসবিসি ব্যাংকের সাইফুর রহমানের অ্যাকাউন্টে এ অর্থ স্থানান্তরিত হয়। হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম নিজ নিজ ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে এই অর্থ সাইফুর রহমানের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সাইফুর রহমান এ অর্থ দিয়ে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে সাড়ে সাত কাঠা ও পাঁচ কাঠার দুটি প্লট ক্রয় করেন। এছাড়া কিছু অর্থ স্থায়ী আমানত হিসেবে ব্যাংকে গচ্ছিত রাখেন। বাকি অর্থ আরো কয়েকজনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর করেন।



মন্তব্য চালু নেই