হরতাল দেবেন কৃষকরাও

হরতাল বা অবরোধ এতোদিন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের দখলে থাকলেও এবার ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে এ ধরনের আন্দোলনে নামছেন কৃষকরা। বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলের হরতাল দেখেছে, কিন্তু কৃষকের হরতাল দেখেনি। দাবি আদায় না হলে এবার কৃষকরাও হরতাল অবরোধ করবে।’

রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির শেষে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে কৃষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন এ ঘোষণা দেন।

ফসলের ন্যায্য দাম, ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র স্থাপন এবং সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ফসল কেনার দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি।

চন্দন বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনও প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এ খাতে বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। যেখানে বাজেট হচ্ছে আড়াই হাজার কোটি টাকার।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারের বিশেষ একটি মহল কমিশনের আশায় বিদেশ থেকে চাল আমদানির পায়তারা করছে। তাছাড়া সরকার কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনছে না। তারা আড়তদারদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে কৃষক-সরকার সম্পর্কের মাঝে আড়দারদের টেনে আনছে। যার ফলে কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে ফসলের ন্যায্য দাম থেকে।’ তাই আর অপেক্ষা না করে কৃষকের দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ক্ষোভ প্রকাশ করে সাজ্জাদ জহির চন্দন আরো বলেন, ‘সরকার মুখে ন্যাকা কান্না করলেও কৃষকের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। সে কারণেই সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনছে না।’

এসময় সরকার কৃষকদের মারতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুকান্ত সফি। কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষপ না নিলে কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ করে হরতাল আবরোধের মতো কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দেন তিনি।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন খান, সদস্য মানবেন্দ্র দেব, আক্তারুজ্জামান, সেকান্দার হাই, মজনুসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কৃষকেরা।

মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি কৃষকদের দাবি আদায়ে একটি সংক্ষিপ্ত মিছিলও করে। জাতীয় প্রেসক্লাবের মাসনে থেকে শুরু করে মিছিলটি পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।



মন্তব্য চালু নেই