হরতালে আজও মাঠে নেই জামায়াত
মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির আদেশের প্রতিবাদে ডাকা জামায়াতের দেশব্যাপী দুদিনের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার মাঠে দেখা যায়নি দলটির কোনো নেতা-কর্মীকে।
হরতালে জামায়াত-শিবিরের কোনো তৎপরতা না থাকায় পুলিশ ও র্যাবসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর আজিমপুর, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শ্যামলী, বাংলামটর, শাহবাগ, গাবতলি, মিরপুর এলাকা ঘুরে কোথায়ও হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের মিছিল চোখে পড়েনি। তবে হরতাল প্রতিরোধে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের রাজধানীর বিভিন্ন যায়গায় অবস্থান করতে দেখা গেছে।
বেশ কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে কোনো মিছিল কিংবা কোনো ধরনের পিকেটিং তাদের চোখে পড়েনি। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এমনকি কোনো মিছিলের সংবাদও পাওয়া যায়নি। রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সরেজমিন ওই সব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কিছু দোকানপাট খোলা রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় যানবাহন চলাচলও বাড়তে শুরু করেছে। তবে প্রাইভেটকার সংখ্যা ছিল খুবই কম।
হরতালে সাড়া দেয়নি রাজধানীবাসী। অন্যান্য দিনের মতোই গন্তব্য স্থলে ছুটছেন সাধারণ মানুষ।
আজিমপুর এলাকা থেকে রিকশা চালক ফজলু মোল্লা বলেন, ‘হরতাল ডেকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এটা তামাশা ছাড়া কিছু না। কারণ একদিন বসে থাকলে আমাদের মতো মানুষ কী খেয়ে বেঁচে থাকবে?’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সকল দলের হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করা প্রয়োজন।’
গাড়িচালক নয়ন মিরপুর এলাকা থেকে বলেন, ‘হরতাল মানলে তো পেটের খাবার জুটবে না, তাই রাস্তায় এসেছি গাড়ি চালানোর জন্য। রাজনীতিবিদরা আমাদের মতো মানুষের কথা ভাবেন না। তাই আমরাও তাদের কথায় ঘরে বসে থাকতে পারি না।
মন্তব্য চালু নেই