হরতালের ডাক দিয়ে উধাও ফরিদপুরের বিএনপি নেতারা
ফরিদপুরে হরতালের ডাক দিয়ে উদাও বিএনপি প্রথম সারির নেতাসহ সব শ্রেনির নেতা কর্মীরা। অন্যদিকে হরতালের সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঠে দেখা না গেলেও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দখলে ছিলো ফরিদপুরের রাজপথ। এর আগে মঙ্গলবার তিন দফা দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন নেতারা। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি, বিএনপির দেওয়া সাত দফা এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ফরিদপুরের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ হরতাল আহ্বান করা হয়েছিলো। এ ব্যাপারে জানতে, বিএনপির বড় বড় নেতাদের ব্যবহৃত মোবাইলে বার বার চেষ্ঠা করেও মোবাইল ফোন গুলো বন্ধ পাওয়া গেছে। মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখা গেছে হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি শহরে। রিকসাওয়ালা কুটি সেক জানান, ভাই আমরা জানিনা যে ফরিদপুরে হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে সত্যি কথা হলো হরতাল দিয়ে আমাদের মতো গরীব জনগনের কোন উপকার আসে না। বাস চালক শক্তি জানান, আমরা হরতালের কোন প্রভাব দেখছিনা ফরিদপুরে তাই বাস চালাচ্ছি যথারীতি। ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহন ছেড়ে যেতে দেখাগেছে যথা নিয়মে। অন্যান্য দিনের মতো দোকান-অফিস-আদালত মার্কেট খোলা ছিল। স্কুল-কলেজও খোলা ছিল ক্লাস হয়েছে সবখানে। কিছু স্কুলে বিভিন্ন সাংস্কতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক মোকারম মিয়া বাবু জানান, ফরিদপুর জেলায় কোন হরতাল হয়নি হবেও না, ফরিদপুরে গুটি কয়েক বিএনপির কাছে আবদ্ধ থাকতে দেওয়া হবে না। হরতাল ডেকে পালিয়ে থাকায় বিএনপির নিজেদের নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপি’র তৃনমূল নেতা-কর্মীরা।
মন্তব্য চালু নেই