হবিগঞ্জে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০

হবিগঞ্জের বাহুবলে দ্বীননাথ মডেল স্কুল জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা থানা ভাঙচুর করে। পরে শিক্ষকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বাহুবল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জান জানান, চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে বিকেল পৌণে ৩টা পর্যন্ত রাবার বুলেট এবং টিয়ারসেলের পরিমাণ হিসাব করা হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, বাহুবল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুন্নাহার পারভীনের ঘুষ-দুর্নীতির প্রতিবাদে বাহুবলের দ্বীননাথ ইনস্টিটিউশন ছদরুল হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকরা বুধবার বেলা ১১টায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করে। এসময় ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করে।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, বাহুবল মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী জিয়া উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। এসময় উত্তেজিত ছাত্ররা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপর জুতা ছুড়ে মারে।

পরিস্থিতি সামাল দেন বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই। তিনি উপস্থিত হয়ে সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে ছাত্ররা স্কুলে ফিরে যাওয়ার পথে বাহুবল থানার সামনে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে থানার ভেতরে ঢুকে হামলা চালায়। এসময় থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ পরিস্থিততি শান্ত করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় ১৪ ছাত্র গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হন।

ঘটনাস্থল থেকে দুই শিক্ষক, এক ছাত্র ও এক অভিভাবকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত দুই শিক্ষক হলেন দ্বীননাথ স্কুলের সহকারী শিক্ষক অশোক দাস ও গোলাম মহিউদ্দিন, দশম শ্রেণির ছাত্র জাহাঙ্গীর ও একজন অভিভাবক।

বিকেল ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের হিসাব পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, সহকারী পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই