হত্যা প্রচেষ্টার আসমীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালে ও গ্রেফতার করছে না পুলিশ

হত্যা প্রচেষ্টার আসমীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদেরকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। গত ১২ মে সাতক্ষীরা জেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের মৃত আজিবর মাষ্টারের পুত্র মোঃ মনিরুল ইসলাম ও তার পুত্র কামরুজ্জামান চঞ্চলকে। একই গ্রামের আনছার আলী ও তার পুত্র আল আমীন লোহার রড় ও শাবল দিয়ে পিটিয়ে মারত্মভাবে আহত করে। মনিরুলের বাম কানের লতি ছিড়ে যায়, কান,চোখ ও মাথায় মারাতœক আঘাত পায়। ”ঞ্চল ও মারতœক ভাবে আহত হয়। তাদের কে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চঞ্চলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে হয়। মনিরুল কে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

এ ব্যাপারে মনিরুলের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাদী সদর থানায় একটি এজহার দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক অহিদুজ্জামান তন্দত করে গত ১৬ মে মামলার প্রাথমিক তদন্ত রির্পোট দাখিল করেন। থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এ কথা শুনে আনছার আলী ও তার পুত্র মহা ক্ষেপেছে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে, আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ালে ও পুলিশ গ্রেফতার করছে না।

উল্লেখ্য যে, গত ১০ মে গাঁজা বিক্রি বন্ধ ও বাড়ির পাশে গাঁজা সেবন করা থেকে বিরত থাকতে বলার কারনে কথাকাটির এক পর্যায়ে মনিরুল আল আমীনকে একটি থাপ্পর মারে। এক্ষে ক্ষীপ্ত হয়ে ১ মে সন্ধ্যায় আল আমীন ও তার পিতা নিয়মিত গাঁজা সেবী আনছার আলী মিলে প্রথমে চঞ্চলকে পাথরঘাটা গ্রামের একরামুল মুহুরীরর বাড়ির পাশে ফেলে বেধড়ক পিটাতে থাকে। খবর পেয়ে মনিরুল ঐ স্থানে আসার সাথে সাথে আসামীরা মনিরুলকেও পিটানো শুরু করে। তাদের চিৎকার চেচামেচিতে এলাকার লোকজন ছুটে আসে। বাপ বেটাকে রক্তাত্ব অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

পাথরঘাটা গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঘুর্দেখা গেছে প্রতিদিন দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নদীর চরে,সরকারী প্রায়মারী স্কুল মাঠে, এরশাদ আলীর বাড়ির পিছনে বাশ বাগানে, মৃত আজিবার মাষ্টারের বাড়ির পিছনে আম বাগান সহ বিভিন্ন স্থানে দল বেধে বিভিন্ন বয়সের লোকেরা ইয়াবাহা,গাঁজা,মদ,ফেনসিডিল সেবন করছে।

এ ব্যাপারে পুলিশের সাথে সাথে যোগযোগ করলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় এলাকায় কাউকে মাদক দ্রব্য সেবন করতে দেখেলে থানায় খবর দিবেন। পুলিশ এসে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু বেপরোয়া মাদক সেবীদের ভয়ে কেউ পুলিশে খরব দেয় না। এতে করে পাথরঘাটা এলাকায় দিন দিন মাদক সেবীর সংখ্যা দ্রুত বেড়েই চলেছে। ঘটনাটি এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।



মন্তব্য চালু নেই