হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৪ জনের ফাঁসি
গাজীপুরে স্ত্রী খুনের মামলায় স্বামীসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূইয়া এই আদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চাপুলিয়া বন্যাইপাড়া এলাকার মো. ছলিম মুন্সির ছেলে নিহতের স্বামী আবু আইয়ুব লালন (৪২), তার সহযোগী চাপুলিয়ার রিয়াজ উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে মুল্লুক হোসেন ভূইয়া (৩০) ও একই এলাকার বদিউল আলমের ছেলে মো. রানা (৩৪) এবং মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানার বলাই খাঁ এলাকার জুলহাস খানের ছেলে হানিফ মিয়া (৩২)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মকবুল হোসেন কাজল জানান, গৃহবধূ মোরশেদাকে খুনের দায়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূইয়া ওই চারজনকে মৃত্যুদন্ড ও প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার রায় দেন।
তিনি আরো জানান, আসামিরা সাতদিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
নিহত গৃহবধূর চাচা মো. শওকত আলী জানান, তার বড় ভাই মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে মোরশেদার সঙ্গে ১৯৯৮ সালে একই এলাকার লালনের বিয়ে হয়। পরে তাদের ঘরে দুই কন্যা সন্তান হয়। এক পর্যায়ে লালন একই এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এতে মোরশেদা বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ২০০৮ সালের ৫ নভেম্বর রাতে লালন ও সহযোগীরা মোরশেদার ওপর হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এ সময় জনতা ঘাতকদলের হানিফকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়। পরদিন মোরশেদা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। ওই সময় মোরশেদা পাঁচ মাসের অন্তসত্তা ছিল। পরে তিনি বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ অন্য আসামিদেরও গ্রেফতার করে। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে শওকত আলী দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান।
এ দিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী হুমায়ুর কবির বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
মন্তব্য চালু নেই