হচ্ছে নতুন নীতিমালা : সেচযন্ত্র স্থাপনে লাগবে অনুমতি

ভূ-উপরিস্থ পানির উৎস দিন দিন কমে আসছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও নিচে নেমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সেচকাজে কৃষকদের পানি ব্যবহার করতে হবে হিসাব করে। এমন নির্দেশনা যুক্ত করে নতুন একটি নীতিমালা করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। নীতিমালায় সেচযন্ত্র স্থাপনে অনুমোদন ও লাইসেন্স গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

‘সমন্বিত ক্ষুদ্রসেচ নীতিমালা’ নামে এ নীতির খসড়া কৃষি মন্ত্রণালয় তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

খসড়া নীতিমালার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নে সেচের গুরুত্ব অপরিসীম। খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য উচ্চফলনশীল ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সেচ অন্যতম উপকরণ। কৃষকরা বিভিন্ন সেচ কার্যক্রমের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ ও ভূপরিস্থ পানি যথাযথভাবে ও পরিকল্পিত উপায়ে ব্যবহার না করায় পানি ব্যবহারে দক্ষতা কমতে থাকে। সেচের পানি সুষ্ঠু ব্যবহার করে ফসল উৎপাদনে নিবিড়তা ও ফলন বৃদ্ধির জন্য সুপরিকল্পিত সেচ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটি যুগোপযোগী সমন্বিত ক্ষুদ্রসেচ নীতিমালা প্রবর্তন করা প্রয়োজন।

সেচযন্ত্র স্থাপনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বিষয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘সেচযন্ত্রের স্থান ও দূরত্ব নির্ধারণ করে সেচযন্ত্র স্থাপনের অনুমোদন, সেচযন্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, জেলা ও উপজেলায় সেচ সংক্রান্ত বিষয়ে সৃষ্ট বিরোধ মীমাংসা করা, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্রসেচ প্রকল্পের অনুমোদনের ব্যবস্থা করা।’

সেচ কার্যক্রম তদারক ও সমন্বয়ের জন্য উপজেলা ও জেলা সেচ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে নীতিমালার খসড়ায়।

নীতিমালার ৪ নম্বর নীতিতে পানি ব্যবহারের বিষয়ে বলা হয়েছে, অঞ্চলভিত্তিক পানির প্রাপ্যতা, পানির ব্যবহারের প্রকৃতি ও সম্ভাব্যতা বিবেচনায় হাওর, পাহাড়ি এলাকা, বরেন্দ্র এলাকা, চরাঞ্চল, উপকূলীয় অঞ্চলে সেচের পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার, ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা, বৃষ্টির পানি ব্যবস্থাপনা, গাউন্ড ওয়াটার জোনিং ম্যাপ, সমবায়ভিত্তিক পুকুর, নাল, খাল পুনঃখনন, সম্পূরক সেচ ও পানির অর্থনৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই