স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৬ মার্চ) সকাল ছয়টার দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এরপর প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তাঁরা মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য এবং সেনা, নৌ ও বিমান—তিন বাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদসহ কোনো ধরনের সহিংসতা সমর্থন করে না। জাতীয় জীবনে আরও ধৈর্য, সংযম ও সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ২৬ মার্চ আমাদের জাতির আত্মপরিচয় অর্জনের দিন। পরাধীনতার শিকল ভাঙার দিন। তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে মহান মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে রোববার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত বিপথগামীদের সৎ পথে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশগঠনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে। আমি চাই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।’



মন্তব্য চালু নেই