স্মার্টফোন ডেলিভারি দিতে এসে নৃশংসভাবে খুন ফ্লিপকার্ট কর্মী
শেষ তাঁকে দেখা গিয়েছিল একটি জিমে ঢুকতে৷ তাও ৯ ডিসেম্বর৷ তারপর ফের তাঁকে দেখা গেল কয়েকদিন পর৷ পচা-গলা, গলার নলি কাটা অবস্থায়৷ নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল তাঁকে৷
বেঙ্গালুরুর এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে হতবাক সবাই৷ বছর ২৯-এর ননজুন্দাস্বামীকে গলার নলি কেটে খুন করে ওই বিল্ডিংয়ে ফেলে রেখে যায় খুনি৷ কিন্তু আততায়ী কে তা জানলে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে৷ ওই জিমেরই ট্রেনার বরুণ কুমার খুন করে ননজুন্দাস্বামী নামে ওই ডেলিভারি বয়কে৷ জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্টের কর্মী ননজুন্দাস্বামী গত ৯ তারিখ ওই জিমে একটি স্মার্টফোন ডেলিভারি দিতে যান বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি৷
এমনকী তাঁর পরিবার দু’দিন পর একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে থানায়৷ তবুও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি৷
মৃতদেহ উদ্ধারের পর জিমের ট্রেনারকে জেরা করেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসে বিড়াল৷ বরুণকেই স্মার্টফোন ডেলিভারি দিতে এসেছিল ননজুন্দাস্বামী৷ কিন্তু তাঁকে খুন করলেন কেন বরুণ? বরুণের জবানবন্দি নিতে গিয়ে গা শিউরে ওঠা সত্য বেরিয়ে আসে৷
নিজের সহকর্মীদের মতো দামি স্মার্টফোন কেনার শখ হয়েছিল বরুণের৷ কিন্তু তাঁর কাছে এত টাকা ছিল না৷ এমনকী তাঁর বাবাও টাকা দিতে অস্বীকার করেন৷ তখন যেনতেন প্রকারেণ স্মার্টফোন হাসিল করার পরিকল্পনা নেয় বরুণ৷ তখনই ভয়ঙ্কর একটা ছক ফাঁদে বরুণ৷
পরিকল্পনামাফিক সে অনলাইনে ফ্লিপকার্ট থেকে স্মার্টফোন অর্ডার করে৷ যেদিন ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল সেদিন সে ধারাল ছুরি নিয়ে অপেক্ষা করছিল ডেলিভারি বয়ের জন্য৷ জিমের ঠিকানাতেই সে ফোন অর্ডার করে৷
ফোন হাতে পাওয়ার পরই টাকা দেওয়ার বদলে ননজুন্দাস্বামীর মাথায় লোহার রড ও ফুলদানি দিয়ে আঘাত করে৷ তারপর ননজুন্দাস্বামী অচৈতন্য হয়ে পড়লে ছুরি দিয়ে তাঁর গলার নলি কেটে দেয় বরুণ৷
জিমের অন্যান্য গ্রাহকরা বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে সে৷ এমনকী বেশ কয়েকজনকে সে বলে, জিম সেদিনের মতো বন্ধ হয়ে যাবে তাই তাড়াতাড়ি তাঁরা যেন বেরিয়ে যান৷ এরপরই কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে মৃতদেহ টানতে টানতে সে জিমের বেসমেন্টের ভিতরে লুকিয়ে রাখে বরুণ৷
১২ হাজার টাকা দামের ওই স্মার্টফোন-সহ আরও একটি দামি ফোন, কিছু নগদ টাকা ও কিছু জিনিস ডেলিভারি ব্যাগ থেকে সরিয়ে ফেলে বরুণ৷ পুলিশকে সে জানিয়েছে, ডেলিভারির আগের দিনই একটি ধারাল ছুরি জিমের গোপন জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিল বরুণ৷ তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ -সংবাদ প্রতিদিন
মন্তব্য চালু নেই