স্বাস্থ্য ও খাবারের ব্যাপারে আপনার যে ধারণাগুলো ভুল

স্বাস্থ্য ও খাবার নিয়ে এমন কিছু কাল্পনিক গল্প প্রচলিত আছে যা শুনে অভিজ্ঞ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষও দ্বিধা গ্রস্থ হয়ে পড়েন। স্বাস্থ্য নিয়ে এই কাল্পনিক তথ্য গুলো বৈজ্ঞানিক ভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এই ভুল ধারণা গুলো আমাদেরকে সত্যিকারের ভালো থাকা থেকে বঞ্চিত করছে। আজকে এমনই কিছু হেলথ মিথ সম্পর্কে জানবো আমরা।

১। ডিম হার্টের জন্য খারাপ

এটা সত্যি যে ডিমে কোলেস্টেরল আছে। একটা ডিমের কুসুমে ২০০মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। এটাও সত্য যে কোলেস্টেরল গ্রহণের মাত্রা সীমিত রাখা উচিৎ। কিন্তু হার্টের জন্য ডিম খারাপ এটাও সত্যি নয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, বেশির ভাগ মানুষই দৈনিক একটা ডিম খেতে পারেন। এর কারণ হচ্ছে, অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- চর্বি যুক্ত খাবার এর যে কোলেস্টেরল রক্তে জমা হয় তা ডিমের কোলেস্টেরল থেকে আলাদা। ডিম খুব ভালো একটি খাবার যা খেয়ে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন।

২। ফ্যাটি ফুড খেলে ফ্যাট হয়

মানুষ খাদ্যের ফ্যাট এর সাথে মোটা মানুষের একটা সম্পর্ক তৈরি করে নিয়েছে। চিপস, বার্গার এবং ভাজা পোড়া খাবার ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে কিন্তু সব চর্বি যুক্ত খাবারই খারাপ না। মায়ো ক্লিনিক এর মতে, ডায়াটারি ফ্যাট আমাদের শরীরের বিভিন্ন কাজ পরিচালনার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। আসল কথা হল সঠিক ফ্যাট গ্রহণ করতে হবে। সেচুরেটেড ও ট্র্যান্স ফ্যাট যা ভাজা পোড়া খাবারে ও প্রসেসড খাদ্যে থাকে তা বাদ দিতে। জলপাই তেল, বাদাম, বীজ ইত্যাদিতে মনোসেচুরেটেড ও পলি সেচুরেটেড চর্বি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে যা গ্রহণ করতে হবে।

৩। শরীর ভালো রাখে দুধ

‘শরীর ভালো রাখে দুধ’ এই কথাটি শুনলে বেশিরভাগ মানুষই সম্মতি জানাবে। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, বিশ্বের ৮০ শতাংশ মানুষের শরীরে দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য হজমের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম এর ঘাটতি থাকে। যদি আপনি সেই ৮০% মানুষের একজন হয়ে থাকেন তাহলে দুধ ও দুধ জাতীয় খাদ্য নিয়মিত খেলে আপনার স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হবে। তাই ক্যালসিয়াম এর ঘাটতি পূরণের জন্য সবুজ শাকসবজি, বাদাম, কপি ও তিলের তেল খাওয়া ভাল। দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেতে চাইলে ছাগল বা ভেড়ার দুধের পনির, মাখন ও অরগানিক প্লেইন ইয়োগারট খেতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় একমাস দুগ্ধ জাতীয় খাবার না খেয়ে তারপর খেলে আপনি বুঝতে পারবেন যে, এটা আপনার শরীর ঠিক মত গ্রহণ করতে পারছে কি পারছেনা।

এমন আরো কিছু মিথ হচ্ছে, মোটা মানুষের চেয়ে চিকন মানুষ স্বাস্থ্যবান, প্রেগন্যান্ট অবস্থায় ব্যায়াম করা ঠিক নয়, ভিটামিন ট্যাবলেট ও সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যবান থাকবেন, ঠান্ডা এবং ফ্লু ভালো করতে অ্যান্টি বায়োটিক খান ইত্যাদি।



মন্তব্য চালু নেই