স্বাস্থ্যকর যে খাবার গুলো বেশি খাওয়া ঠিক নয়

সব জিনিষেরই একটা নির্দিষ্ট সীমা থাকে। খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রেও এই কথাটা প্রযোজ্য। কোন খাদ্য যতোই স্বাস্থ্যকর হোক না কেন বেশি খেলে তা স্বাস্থ্য এর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এমন কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারের কথাই আজ আমরা জেনে নেব যা বেশি খাওয়া ক্ষতিকর।

১। গাজর

গাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাদ্য। গাজর ভিটামিন, খনিজ লবণ এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ। কিন্তু আপনি কি জানেন গাজর বেশি খাওয়া মানে আপনার শরীর বেশি পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন শোষণ করবে। এই কমলা বর্ণের উপাদানটি রক্তে গিয়ে ঘনীভূত হবে এবং পরিনামে ত্বক কমলা বর্ণ ধারণ করবে। এটা সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যাদেরকে অনেক বেশি গাজর সমৃদ্ধ শিশু খাদ্য খাওয়ানো হয়।

২।কফি

কফি একটি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর পানীয়। কিন্তু অতিরিক্ত কফি পান করলে নার্ভাস সিস্টেম এ সমস্যা হয়, ইনসোমনিয়া হতে পারে, মাংস পেশির কম্পন এবং বুক ধড়ফড় করার সমস্যা হতে পারে। তাই দিনে ২ কাপের বেশি কফি পান করা ঠিক নয়।

৩।মাছের তেল

মাছের তেলে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুব ভালো। এটা ব্রেইন ডেভলপমেন্ট এর জন্য সহায়ক, প্রদাহ কমায়,হার্ট ডিজিজ এর ঝুঁকি কমায় এবং শরীরের অন্যান্য গুরুত্ব পূর্ণ কাজেও সহায়তা করে। কিন্তু অনেক বেশি পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড রক্তকে পাতলা করে দিতে পারে। যা স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। অনেক বেশি মাছের তেল খেলে ভিটামিন এ এর বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। যা শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খারাপ প্রভাব ফেলে। ফলে দৃষ্টির সমস্যা ও বমি বমি ভাবের সৃষ্টি করে।

৪। দারুচিনি

দারুচিনিতে কোমারিন থাকে, যা ক্যান্সার সৃষ্টি করে ও যকৃতে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে- যদি ৫ গ্রামের বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা হয়। গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, একদিনে ২ গ্রাম দারুচিনি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন।

৫।কামরাঙ্গা

সুস্বাদু এই ফলটি বেশি খেলে কিডনি ও মুত্রাশয়ের সমস্যা হতে পারে। সুতরাং খুব বেশি পরিমাণে কামরাঙ্গা খাবেন না।

৬।পানি

এই তালিকায় পানির নাম দেখে আপনি নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! পানি বেশি পরিমাণে পান করলেও স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে। পানি বেশি পরিমাণে পান করলে দেহে সোডিয়াম এর ঘনত্ব কমে যায়, যার ফলে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট এর ভারসাম্য নষ্ট হয়। যারা নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমসাটি হতে দেখা যায়।

এমন আরো কিছু খাদ্য আছে যা বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়, যেমন-কলিজা, জায়ফল, টুনাফিশ, কমলা ইত্যাদি। যাদের পরিবারে থাইরয়েড এর সমস্যা আছে তারা বাঁধাকপি কম খাবেন বা একেবারে খাওয়া বাদ দেয়া ভালো।

লিখেছেন-

সাবেরা খাতুন



মন্তব্য চালু নেই