স্বাস্থ্যকর ভাল ঘুমের জন্য করুন এই ৭টি কাজ

সুন্দর এবং সফল দিনের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ভাল ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। পর্যাপ্ত এবং ভালো ঘুম মনকে প্রফুল্ল রাখে, কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। অপর দিকে অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে। শুধু কি তাই? চোখের নিচে কালি, বলিরেখা, বয়সের ছাপ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে। ঘুমের পরিবেশ, খাদ্যভ্যাস, সময় আরও কিছু বিষয় নির্ভর করে একটি ভাল ঘুমের জন্য। জেনে নিন রাতে ভাল ঘুমের জন্য কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম।

১। ঘুমের সময় নির্দিষ্ট রাখা
প্রতিদিন যে সময়ে ঘুম থেকে উঠেন, ছুটির দিনটি কিছুটা দেরি করে ঘুম থেকে উঠে থাকেন। আর তখনই ভুলটি করে থাকেন। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন। সময় অতিক্রম করলে আমাদের বায়োলোজিক্যাল ক্লক বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যা পরবর্তিতে অনিদ্রা সৃষ্টি করে থাকে।

২। সুন্দর গোছালো শোবার ঘর
শব্দহীন,শান্ত পরিবেশ একটি ভাল ঘুমের পূর্বশর্ত। ঘুমাতে যাওয়ার আগে শোবার ঘরটি পরিষ্কার করে নিন। হালকা রং এর সিল্ক, প্রাকৃতিক ফাইবার তৈরি চাদর ব্যবহার করুন। রুম পুরা অন্ধকার করে না ঘুমিয়ে হালকা ডিমলাইট ব্যবহার করুন। আলো আধারি ছোঁয়া ভাল ঘুমাতে সাহায্য করবে।

৩। শোবার ঘরটি ঠান্ডা করুন
ভাল ঘুমের জন্য সাধারণ তাপমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম রাখার উচিত ঘরের তাপমাত্রা। অনেক বেশি ঠান্ডা, অনেক বেশি গরম কোনটাই ভাল নয়। ঘরের তাপমাত্রা ৬০ থেকে ৬৭ ডিগ্রী ফারেনহাইট রাখা উচিত- এমনটি মনে করেন Dr. Christopher।

৪। ইলেকট্রোনিক্স ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করুন
ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বন্ধ করুন। উজ্জ্বল আলো ঘুমের প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ বই পড়ে নিতে পারেন।

৫। গোসল করে নিতে পারেন
ঘুমাতে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিন। শরীর গরম থেকে ঠাণ্ডা হতে গেলে শরীর ও মস্তিস্ক অবসাদগ্রস্থ হয়। আর এটি দ্রুত ঘুমাতে সাহায্য করে।

৬। কফি পানের অভ্যাস ত্যাগ করুন
ঘুমাতে যাওয়ার ৫ ঘন্টা আগে কফি পান থেকে বিরত থাকুন। ক্যাফেইন আপনাকে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত জাগিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাই বিষেজ্ঞরা দুপুর ২ টার পর থেকে কফি খেতে নিষেধ করে থাকে।

৭। দুশ্চিন্তা দূরে রাখুন
অনেকে বিছানায় শুয়ে সারাদিনের ব্যর্থতা, হতাশার কথা চিন্তা করে। এর কারণে মস্তিষ্ক সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করতে থাকে। যা কারণে ঘুম আসে না। এইসময় এই সব নেতিবাচক চিন্তা করে জীবন নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করুন। দেখবেন ঘুম চলে এসেছে।



মন্তব্য চালু নেই