‘স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক বাসায় ভাড়া ছিলেন আফসানা ও রবিন’
স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রাজধানীর পল্লবীর একটি বাসা ভাড়া নিয়ে প্রায় দুই মাস ছিলেন ফেরদৌস আফসানা ও তেজগাঁও কলেজের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিন। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এদিকে আফসানা হত্যার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করতে পারেনি।খবর দৈনিক ইত্তেফাকের।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ মুঠোফোনে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্য ঘটনার তদন্ত এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এক-দুই দিনের মধ্যে তদন্তের সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পল্লবীর একটি বাসা ভাড়া নিয়ে প্রায় দুই মাস ছিলেন। তাকে গ্রেফতার করার পর তার জবানবন্দি অনুযায়ীও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে পুলিশ আল-হেলাল হাসপাতালের সামনে সিসি টিভি ফুটেজ জব্দ করলে তদন্ত স্বার্থে কোন কিছু বলতে রাজি হয়নি।
আফসানার ভাই ফজলে রাব্বি আরো জানান, তেজগাঁও থাকাকালীন তেজগাঁও কলেজের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রবিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আফসানা। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যান আফসানা। ঘটনার ১০ দিন আগে আফসানা ও রবিনের পরিচিত বন্ধুরা আবার তাদের এক করে দেন। কিন্তু ঘটনার দুইদিন আগে ফের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। এই নিয়ে আফসানাকে দেখে নেয়ারও হুমকি দেয়া হয়। এর দুইদিন পরই লাশ পাওয়া গেল আফসানার। এখন প্রতিনিয়ত হুমকি আসছে মোবাইল ফোনে। গত সোমবার বিকালেও রবিনের ভাই পরিচয় দিয়ে দিপু নামে একজন বলেছেন, এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি কইরেন না। একটা মিসটেক হয়ে গেছে। আসেন আমরা বসে মীমাংসা করে ফেলি।
আফসানাকে ধর্ষণের পর রশির মতো কোনো কিছু দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রবিন, সৌরভ ও বাবু ছাড়াও আরো কয়েকজন জড়িত বলে রাব্বির দাবি।
রাব্বি আরো জানান, মা ও এক বোনকে নিয়ে রাব্বি গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। তবে আফসানা ঢাকায় থেকে সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির স্থাপত্য বিদ্যার শেষ বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন। আগে অন্য ছাত্রীদের সঙ্গে তিনি তেজগাঁও এলাকায় থাকতেন। মাসখানেক আগে দুই রুমমেটের সঙ্গে মানিকদি এলাকার একটি বাসায় উঠেছিলেন।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আফসানার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ফজলে রাব্বি।
মন্তব্য চালু নেই