স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বিছানায় না থাকলে যে ক্ষতি হয়

সম্পর্কের গাড়ি কিছুদিন গড়ানোর পরে ধীরে ধীরে উৎসাহ-উদ্দীপনা কমে যায়। আগের মতো আবেগঘন মুহূর্ত খুব বেশি তৈরি হয় না। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে তা অনেক বেশি করে খাটে।সংসারের চাপে হোক অথবা অন্য কোনও কারণে, অনেক দম্পতিই বিয়ের কিছুদিন বা বছর পর থেকে আলাদা শুতে শুরু করেন।

অনেক সময়ে সন্তানের জন্মের পর থেকেই তা শুরু হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এতে দুজনের সম্পর্কের প্রভূত ক্ষতি হয়। স্বামী বা স্ত্রী, দুজনেরই আলাদা সত্ত্বা রয়েছে। দুজনের প্রতিমুহূর্তে একে অপরকে প্রয়োজন। সেখানে যদি দুজনে আলাদা শুয়ে থাকেন, তাহলে সম্পর্কে ফাটল ধরতে বাধ্য। স্বামী-স্ত্রী দুজনে আলাদা ঘরে আলাদা শুলে কি সমস্যা হতে পারে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বা জীবনে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে তা জেনে নিন:

১. সম্পর্কে টান ধরে : দুজনে আলাদা শুয়ে দিন কাটালে সম্পর্কের উষ্ণতা অনেক কমে যায়।

২. অন্তরঙ্গতা : দুজনে একই বিছানায় না শুলে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সুখ-দুঃখের কথা না বললে অন্তরঙ্গতা কমে যেতে বাধ্য।

৩. অন্যের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হওয়া : স্বামী বা স্ত্রী যেকারও ক্ষেত্রেই এটা হতে পারে। অন্য পুরুষ বা মহিলা সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ জন্মায়।

৪. ঘৃণাভাব জন্মানো : যদি আলাদা শুতে শুতে অন্যের প্রতি ভালোলাগা তৈরি হয়, তাহলে তারপর স্ত্রী বা স্বামীর প্রতি অল্পেতেই ঘৃণা বা অবজ্ঞার ভাবনা মনে আসে।

৫. ছোট ঘটনাও বড় আকার নেয় : আলাদা থাকতে থাকতে মনও বদলে যায়। ফলে ছোট ঘটনাতে কথা-কাটাকাটিও অনেক বড় আকার নেয়।



মন্তব্য চালু নেই