স্বাগত ২০১৭ : নতুন বছর নতুন স্বপ্ন
আজ ইংরেজি নববর্ষ। নানা আয়োজনে নতুন বছর ২০১৭ সালকে বরণ করছে জাতি।
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নববর্ষের প্রথম দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ তথা সমগ্র বিশ্বের সুখ ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করা হবে এই দিনটিতে।
এই বিশেষ দিনটিকে উপলক্ষ করে এরই মধ্যে বিভিন্ন খুদেবার্তা ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু হয়েছে। বিভিন্ন করপোরেট, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও সংগঠনও প্রতিবছর নিকটজনদের কাছে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হয়ে থাকে।
এই দিনটিতে বিদায়ী বছরের সাফল্য ও ব্যর্থতা ফিরে দেখা হয় এবং নতুন বছরে কীভাবে লক্ষ্য অর্জন করা যায়, সে জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বছরের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্যও কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়।
২০১৬ সাল বাংলাদেশের জন্য ছিল অর্থনীতি, কৃষি ও পর্যটন এবং মধ্যম আয়ের দেশে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সাফল্য ছিল উল্লেখযোগ্য। রাজনীতির ক্ষেত্রেও একধরনের স্থিতিশীলতা ছিল। আগের বছরগুলোর মতো এ বছরটিতে হরতাল ছিল না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ী বছরে রেকর্ড পরিমাণ জিডিপি ৭ দশমিক ১১ ও মাথাপিছু গড় আয় সর্বোচ্চ রেকর্ড এক হাজার ৪৬৫ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গত নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩৮, যা ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৮। ব্যাংকের রিজার্ভও ৩২ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি ছিল, যা একটি রেকর্ড।
২০১৬ সালে কৃষিক্ষেত্রেও ব্যাপক সাফল্য দেখা গেছে। এ সময় কৃষকরা খাদ্যশস্যে শুধু অভ্যন্তরীণ চাহিদাই মেটায়নি, বিদেশে তা রপ্তানিও হয়েছে।
বাংলাদেশ বিশ্বে সবজি উৎপাদনে তৃতীয় ও মাছ উৎপাদনে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। এ ছাড়া কৃষি উৎপাদন ও মূল্য গ্রহণযোগ্য হওয়ায় কৃষক ও ভোক্তা উভয়েই খুশি ছিলেন বিদায়ী বছরটিতে।
নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইট ও ১ জানুয়ারির বরণ লগ্ন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সে জন্য নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই