স্বস্তি নেই ১০ জুনের আগে
স্বস্তি নেই ১০ জুনের আগে। ‘প্রচণ্ড গরমে সারারাত বিছানায় কেবল এপাশ-ওপাশ করেছি। ঘুম হয়নি। ভোররাতে খানিকটা ঘুম হলেও সকালে উঠে দেখি ঘামে ভিজে গেছে বালিশ।’ তীব্র গরমে রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় অস্বস্তিকর রাত কাটানোর এ অভিজ্ঞতার কথা জানান নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ইলিয়াস হোসেন।
দুর্বিষহ গরমে হাঁপিয়ে ওঠার এমনই কথা জানান আরো অনেকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত প্রায় সকল বয়সী সাধারণ মানুষেরা সারারাত নির্ঘুম কাটানোর পাশাপাশি বিপর্যস্ত জীবনযাপন করছেন। এটা শুধু রাজধানীর চিত্র নয়, সারাদেশের মানুষই প্রচণ্ড গরমে অস্থির।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা আছে। তবে ১০ জুনের পর মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের আকাশে সক্রিয় হতে পারে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইডে প্রকাশিত পূর্বাভাসে দেখা গেছে, গরমের মাত্রাটা বেশি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলেও এ তাপপ্রবাহের বিস্তার আছে। এ কারণে গরমের মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের প্রায় সর্বত্রই তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একমাত্র সিলেট বিভাগ ছাড়া অন্য কোনো বিভাগে বৃষ্টির দেখা মেলেনি।
তবে শুক্রবারের চেয়ে শনিবার রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
এদিকে সূর্যের প্রচণ্ড তাপদাহের জন্য দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যশোরে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস; খুলনায় ৩৮ দশমিক ৩; বরিশালে ৩৬ দশমিক ৭; চট্টগ্রামে ৩৪ দশমিক ৫; তাপমাত্রা রংপুরে ৩৩ দশমিক ৫।
দেশের একমাত্র সিলেটে বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানকার তাপমাত্র ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গড় বৃষ্টিপাতের পরিমান ২৯ মিলিমিটার।
মন্তব্য চালু নেই