স্বর্ণ জয় হল না সালমাদের

এশিয়ান গেমসে স্বর্ণ পদক জয় করা হল না বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের। তবে এবারের এশিয়াডে ধারাবাহিক ব্যর্থতার মধ্যে প্রথম পদকটি এলো সালমাদের হাতে ধরেই। ব্যাটিং ব্যর্থতারা কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজ লক্ষ্যও পাড়ি দিতে পারেনি বাংলাদেশে মেয়েরা। ফলে এবারের এশিয়ান গেমসেও গতবারের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি ঘটল।

প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং করে পাক ব্যটসম্যানেদের বৃত্তবন্দী করে ফেলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ২০ ওভারে পাকিস্তান বাংলাদেশকে মাত্র ৯৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয়। আর বৃষ্টি যেন এদিন এসেছিল বাংলাদেশের জন্য আর্শীবাদ হয়েই। বৃষ্টির কারণে ডিএল মেথডে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৪৩ রান। ঠিক দিকেইেএগুচ্ছিল সফরকারী লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

এক সময় দুই উকেটে ৩০ রান ছিল বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। ১৪ রান করার জন্য ওভারও বাকি ছিল ৩ টি। তারপরই সবগুলিয়ে ফেলল সালমারা। স্বর্ণ জয়ের খুব কাছাকাছি তেকে ফিরে এল তারা। মাত্র ৮ রান করতেই আরও ৭ উইটেক হারিয়ে ফেলল! আর সবগুলো ওভার শেষে বাংলাদেশের ইনিংস থেমে গেল ৩৮ রানে। মাত্র ৪ রানের হার মেনে নিতে হল। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০ রান করে করেন ফারজানা ও রুমানা। পাকিস্তানের পক্ষে ২ উইকেট করে নেন সানা মির, সাদিয়া ইউসুফ ও নিদা ধর।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৭ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। রুমানা, সালমা ও ফাহিমাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারেনি পাকিস্তানের ইনিংস। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেস বিসমাহ মারুফ। ২৭ বল খেলে ১ বাউন্ডারিতে ২৪ রান করেন তিনি। এছাড়া মারিনা ১৪ ও নাইন আবিদী ১৮ রান করেন। বাংলাদেশ দলের পক্ষে রুমানা আহমেদ ২ উইকেট, সালমা খাতুন ও ফাহিমা খাতুন ১ উইকেট করে নেন।

স্বর্ণ পদক না পেলেও এবারের এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের প্রথম পদক জয়টা হল সালমাদের হাত ধরেই। আর অন্য দিকে এশিয়ান গেমসে ছেলেদের ক্রিকেটে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়েছে মাশরাফিরা। তাদের ঘিরেও পদক জয়ের আশা রয়েছে বাংলাদেশের।



মন্তব্য চালু নেই