স্বপ্ন দেখা প্রসঙ্গে বিশ্বনবির বক্তব্য

সব স্বপ্নই মানুষের মনের নিছক কোনো কল্পনা নয়। অনেক স্বপ্ন মানুষের ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ ও ক্ষতির ইঙ্গিত বহন করে। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানের স্বপ্ন নবুয়তের ৪৫ ভাগের একভাগ। তাই স্বপ্নকে নিছক কোনো কল্পনা প্রসুত বিষয় বলে উড়িয়ে দেয়া ঠিক নয়।

তাছাড়া সুন্দর সুন্দর স্বপ্ন দেখার বাসনাও মানুষের কাছে একটা স্বপ্ন। মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। কিন্তু স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবতার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কিছু কিছু স্বপ্ন আছে, মানুষ যা ঘুমের ঘোরে দেখে, তা আবার বাস্তবে ফলে যায়।

আবার কিছু কিছু স্বপ্ন আছে মানুষকে আনন্দ-বেদনার ঈঙ্গিত দেয়। স্বপ্ন দেখার সুফল, কুফল সম্পর্কে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন কিয়ামত সন্নিকটে হবে তখন মুসলিম ব্যক্তির স্বপ্ন মিথ্যা হবে না। তোমাদের মাঝে সবচেয়ে যে সত্যবাদী তার স্বপ্ন সবচেয়ে বেশি সত্য হবে।
আর মুসলিমদের স্বপ্ন নবুয়তের ৪৫ ভাগের একভাগ।

স্বপ্ন তিন প্রকার-
>> নেক স্বপ্ন যা আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ স্বরূপ;
>> শয়তানের পক্ষ হতে স্বপ্ন, (মানুষকে) দুশ্চিন্তায় ফেলানোর জন্য;
>> মানুষ মনে মনে যা জল্পনা-কল্পনা করে, সে স্বপ্ন।
অতএব তোমাদের কেউ অপছন্দ করে, এমন স্বপ্ন দেখলে ওঠে নামাজ আদায় করবে এবং তা মানুষকে বলবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)

হাদিস অনুযায়ী ভালো স্বপ্নের জন্য আল্লাহ শুকরিয়া এবং অপছন্দনীয় স্বপ্নের জন্য দান-খয়রাত ও আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগি করা উত্তম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে স্বপ্নের করণীয় রক্ষায় হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।



মন্তব্য চালু নেই