স্পিকারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

রোববার স্পিকারের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

এসময় তারা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিকসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত শুরুতেই বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান। পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অগ্রগতিতে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন বার্নিকাট।

স্পিকার বলেন, ‘সকল নীতিমালা ও আইন নারী সংবেদনশীল করে তৈরি করে নারীকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে বাংলাদেশ সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সামাজিক ও স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস এবং বাল্যবিবাহ রোধে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। নারী ক্ষমতায়ন শুধু শহরাঞ্চল নয় বরং তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে গ্রামাঞ্চলে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নারী অধিকার সমুন্নত রাখা এবং জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। আইন প্রণয়নের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে নারীরা সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’ অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি রোল মডেল। নারী শিক্ষাকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে নারীদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা, উপবৃত্তি প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।’

তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘নারীরা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এ সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। তাই সরকার তাদের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ সৃষ্টি, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান, আবাসিক সুযোগ সুবিধাসহও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে চলেছে।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত সর্ব প্রকার বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধির অশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেছেন বার্নিকাট। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।’

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ক্যাথলিন জিবিলিসকো এসময় উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই