স্ত্রীর সঙ্গে ফেসবুক-টুইটারও নিষিদ্ধ

বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের মনযোগ ধরে রাখতে দলগুলো নানারকম তৎপরতা চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি নজর থাকছে স্ত্রী-বান্ধবীদের দিকে। ফুটবল বিশ্বকাপেও এ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। সেক্ষেত্রে অনেক দল স্ত্রী বা বান্ধবীদের সঙ্গে অবস্থানের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে।

তবে ক্রিকেট বিশ্বকাপে উপমহাদেশের দলগুলো এ ব্যাপারে বেশ কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছে। ভারত তাদের দলের সদস্যদের সঙ্গে স্ত্রী বা বান্ধবীদের থাকতে দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। ১৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে পরিবারের সরাসরি যোগাযোগ রাখতে পারবেন না ক্রিকেটাররা।

আর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে। শুধু পরিবার নয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমও নিষিদ্ধ থাকছে দলটির সদস্যদের জন্য। টিম ম্যানেজার নাভেদ আকরাম চিমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টে খেলায় ক্রিকেটারদের পূর্ণ মনযোগ নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নিচ্ছে পিসিবি। কেন্দ্রীয় চুক্তির শর্তমতেই আসন্ন টুর্নামেন্টে ফেসবুক-টুইটার বা অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার তাদের জন্য নিষিদ্ধ থাকবে।

নাভেদ আকরাম চিমা বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যখন মানুষ কাজ শেষ করে অবসর পায় তখনই এ ধরনের সাইটগুলো ব্যবহার করে। মনে হয় না আমাদের ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপের পারফরমেন্স নিয়ে ভাবনার পর তাদের হাতে বাড়তি সময় থাকবে।’

খেলায় মনযোগ ছাড়াও নিরাপত্তার দিকটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে পিসিবি। এর আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলটির একাধিক ক্রিকেটার ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছেন। তাই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্যবহারে নতুন বিতর্ক তৈরি হতে পারে। সেই বিতর্কে না জড়াতেও পিসিবি এমন পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে।

শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়, বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদেরও থাকতে দেবে না পিসিবি। আপাতত নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাদের স্ত্রীরা থাকতে পারবেন। এ ব্যাপারে চিমা বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সফরে তাদের পরিবারের সঙ্গে অবস্থানের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপে পরিবার সঙ্গে রাখার অনুমতি দেয়া হবে না।’



মন্তব্য চালু নেই