স্ত্রীর ওষুধ খেয়ে ‘সর্বনাশ’

নিষিদ্ধ চলোরটালিডন গ্রহণের জন্য পাকিস্তানি লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আইসিসির অ্যান্টি ডোপিং কোড অনুযায়ী ইতিবাচক ফল হওয়ায় তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর আবুধাবিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচের দিন পরীক্ষার জন্য তার কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

ফল ইতিবাচক হওয়ায় সম্প্রতি পাওয়া শাস্তির কারণে আপাতত কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলতে পারবেন না ইয়াসির। জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে কোনো ম্যাচেও খেলতে পারবেন না তিনি। তবে ‘বি’ক্যাটাগরিতে নমুনা পরীক্ষার জন্য তিনি আবেদন করতে পারবেন। আর যদি এই পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল না পাওয়া যায় তবে সমগ্র পরীক্ষাটিকে নেতিবাচক বলে ধরে নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছে খুব শিগগিরই ইয়াসির শাহ নমুনা পরীক্ষা ও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আবেদন করবে বোর্ড। বোর্ডের দাবি স্ত্রীর রক্তচাপের ওষুধ ভুল করে খেয়ে ফেলেছিলেন ইয়াসির শাহ।

পিসিবির চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে বলেন,‘ইয়াসিরের স্ত্রী কাকতালীয়ভাবে উচ্চ রক্তচাপের রোগী। ও (ইয়াসির) না জেনেই ভুল করে স্ত্রীর ওষুধ খেয়ে ফেলে। এতে যে নিষিদ্ধ পদার্থ রয়েছে তা জানত না ইয়াসির।’

শাহরিয়ার খান ইয়াসির শাহর উপর বিশ্বাস রেখে আরও বলেন, ‘আমরা বেশ আত্মবিশ্বাসী তাকে নিয়ে। সে ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করেনি। সে খুবই সাদাসিধে লোক। অজ্ঞতাবশত সে ওই ওষুধ গ্রহণ করেছে।’

২৯ বছর বয়সি ইয়াসির শাহের পরিবারেও রক্তচাপের রোগী রয়েছেন। তার চাচা এ কারণে হার্ট অ্যাটাকও করেছেন। তারও একই সমস্যা রয়েছে। যখন উচ্চ রক্তচাপের ব্যাথা অনুভব করেন তখন সামান্য ওষুধ গ্রহণ করেন তিনি।

২০১৪ সালে পাকিস্তানের হয়ে টেস্টে অভিষেকের পর দলটিতে কার্যকরী একজন বোলার ইয়াসির শাহ। মাত্র ১২ টেস্টেই তিনি নিয়েছেন ৭৬ উইকেট। ক্রিকেট বিশ্বে দারুণভাবে প্রশংসিত তিনি। বর্তমানে নিজের সেরাটা দিয়ে টেস্ট বোলিং র‌্যাংঙ্কিংয়ে চার নম্বর অবস্থানে রয়েছেন ইয়াসির।



মন্তব্য চালু নেই