স্ত্রীকে যৌনাঙ্গে ‘সুপার গ্লু’ দিলো স্বামী: অতঃপর

পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে ধরে নিয়ে, স্ত্রীকে উচিত শিক্ষা দিতে, তাঁর যৌনাঙ্গে জোর করে ‘সুপার গ্লু’ ঢেলে দিয়েছিলেন এক সন্দেহপ্রবণ স্বামী। এ বার প্রায় একই রকম কাণ্ড বাধালেন এক স্ত্রী।

তবে রক্ষে, যৌনাঙ্গে নয়, জোরালো আঠায় ঘুমন্ত স্বামীর দু-চোখের পাতা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। ঘুম ভাঙার পর, হাজার চেষ্টাতেও তাঁর স্বামী আর চোখ খুলতে পারেননি। শেষমেশ তাঁকে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হতে হয়। এদিকে, পুলিশের কাছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নালিশও করেছেন। কিন্তু, তার আগেই হাওয়া বেগতিক বুঝে, ঘর ছেড়েছেন মহিলা। মধ্যপ্রদেশের রিওয়ার ওই মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

রিওয়ার চোরহটার করহিয়ায় বাড়ি ওই দম্পতির। তাঁদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, সাংসারিক খুঁটিনাটি নানা কারণে প্রায় রোজই স্বামী সন্তোষ বিশ্বকর্মার সঙ্গে অশান্তি লাগত বিজয়লক্ষ্মীর। অভিযোগ, স্বামী মাঝেমধ্যে তাঁকে মারধরও করতেন। তাতেই ক্ষিপ্ত ছিলেন মহিলা।

জানা যায়, ঘটনার দিন সকাল থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও কারণে তুমুল অশান্তি বাধে। এরপর, রাতে স্বামীকে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে, চোখে সুপার গ্লু ঢেলে দেওয়ার দুর্বুদ্ধি আঁটেন। সেই মতো রাতে চুপিসারে ফেভিকুইক ঢেলে দেন। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন স্বামী টেরটিও পাননি।

সকালে ঘুম ভাঙলে দেখেন, চোখ জুড়ে রয়েছে। চোখে যন্ত্রণাও হচ্ছে। দেরি না-করে, ডাক্তারের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তার আগে, পুলিশ ডাকতে ১০০ ডায়াল করেন। ততক্ষণে বুঝে গিয়েছেন, স্ত্রীর কাণ্ড।

এদিকে, স্বামীকে পুলিশ ডাকতে দেখে, বাড়িতে থাকার সাহস দেখাতে পারেননি ওই মহিলা। পুলিশ আসার আগেই পাঁচালি টপকে পগারপার। আশান্তির জেরেই এমন কাণ্ড, নাকি কারও সঙ্গে পালবেন বলে মনস্থ করেই মহিলা এমনটি করেছেন, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছেন। মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনাও পুলিশ এড়াতে পারছে না।

এক বছর আগে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। বছর চল্লিশের স্ত্রীকে নিজের কাকার সঙ্গে এক বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখে, সন্দেহ হয় স্বামীর। কাকার সঙ্গে স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে বলে ধরে নেন। এর পর, সন্দেহপ্রবণ ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে, দরজা বন্ধ করে দেন। পরনের পোশাক খুলিয়ে স্ত্রীর পা ফাঁক করে, যৌনাঙ্গে সুপার-গ্লু ঢেলে দেন। স্ত্রীর কোনও আপত্তি, অনুরোধ শোনেননি। এর পর, অনেক কষ্টে মহিলার যৌনাঙ্গ থেকে সেই আঠা বের করেছেন ডাক্তাররা। কিন্তু, মহিলার যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে।

ওই ঘটনার পর সেক্স তাঁর জীবন থেকে চলে গিয়েছে। এখন সেই আঠার মাশুল দিতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই গোপনাঙ্গে হয়। ঘটনার পর তিনি চেয়েছিলেন পুলিশ গ্রেপ্তার করুক এমন কুরুচির স্বামীকে। কিন্তু, পারেননি। ভয়ে। যদি, ছাড়া পেয়ে তাঁকে এবার প্রাণেই মেরে ফেলে! তাই, আগল পরিয়ে রেখেছেন অবলা-মুখে।



মন্তব্য চালু নেই