সৌরভ গাঙ্গুলির প্রতি অবিচার করলেন রবি শাস্ত্রী, সমালোচনার ঝড়

সৌরভ গাঙ্গুলির প্রতি অবিচার। ফুঁসেছেন তার ফ্যানরা। সমালোচনার ঝড়! ভারতীয় দুই ক্রিকেটীয় লিজেন্ড রবি শাস্ত্রী ও সৌরভ গাঙ্গুলির মধ্যে মতবিরোধের বিষয়টি এখন আর কারো কাছেই গোপনীয় নয়।

ক্রিকেট পরামর্শক কমিটির সুপারিশক্রমে অনিল কুম্বলেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে গত বছর বিসিসিআই নিয়োগ দেয়ার পরে এই বিষয়টি আরো ভালভাবে সামনে চলে আসে। এই কমিটির অন্যতম সদস্য গাঙ্গুলি।

উভয়েই একে অপরকে নিয়ে সবার সামনে অভিযোগ তুলে বলেছেন তাদের মধ্যে পেশাদারীত্বের অভাব রয়েছে। তবে সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে কানপুরে ভারতীয় দলের ৫০০তম টেস্ট ম্যাচ উদযাপন অনুষ্ঠানে এক সাথে দু’জনেই মঞ্চে উঠেছিলেন, তারপর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

কিন্তু গত সপ্তাহে মাহেন্দ্র সিং ধোনি সীমিত ওভারের ক্রিকেট দলের অধিনায়কের পদ থেকে সড়ে দাঁড়ালে শাস্ত্রী আরেকটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। উইজডেন ইন্ডিয়ার সাথে আলাপকালে ভারতের সাবেক এই দলীয় পরিচালক ধোনিকে ‘‘দাদা অধিনায়ক” উপাধি দিয়েছেন। একইসাথে তার বিবেচনায় ভারতের সেরা অধিনায়কের তালিকায় গাঙ্গুলির নামই রাখেননি। অতীতেও ধোনির পক্ষে শাস্ত্রীর অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে।

শাস্ত্রী বলেন, দাদা অধিনায়কের প্রতি আমার সালাম। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা ধরে রাখার মিশনে প্রস্তুতির জন্য বিরাট কোহলিকে কিছুদিন সময় দিতে হবে। ধোনি তার ক্যারিয়ারে সব কিছুই প্রমাণ করে গেছে। নতুন করে আর প্রমাণের কিছু নেই। আবারো আমি বলতে চাই আমার চোখে নিঃসন্দেহে ধোনিই সেরা অধিনায়ক এবং সেটা সবার থেকে অনেকদুর এগিয়ে।

এখানে তার ধারে কাছেও কেউ নেই। এই তালিকায় বেশ খানিকটা পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ১৯৯৩ সালে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক কপিল দেব। যার নেতৃত্বে ১৯৮৬ সাথে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয় করেছিল ভারত। ওয়ানডে যুগ শুরুর আগে এরপর আমি অজিত ওয়াদেকারকেই আমি এগিয়ে রাখবো। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডে পরপর দুটি টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত। আর অবশ্যই এই তালিকায় রয়েছে দ্য গ্রেট টাইগার পাতৌদি।

তবে শাস্ত্রীর এই তালিকার সাথে অনেক ভারতীয় সমর্থকই দ্বিমত করতে পারেন বলেই বিশেষজ্ঞদের মত। বিশেষ করে গাঙ্গুলির নেতৃত্বে ভারত ৪৯টি টেস্টে ৪২.৬ শতাংশ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছিল। গাঙ্গুলির অধীনে ওয়ানডেতে ১৪৭টি শ্যাটে ভারত ৭৬টি জয় ও ৬৬টি পরাজিত হয়েছিল। সে কারণে ভারতের সেরা অধিনায়কের প্রসঙ্গ উঠলে গাঙ্গুলিকে বাদ দিয়ে কিছু করা সম্ভব নয় বলেই অনেকে মত দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই