সৌরভ আর আকরামের সম্ভাবনা নেই

সৌরভ গাঙ্গুলির বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসার ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে একটা গুঞ্জন উঠেছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিবি) কোচ নিয়োগ কমিটির অন্যতম সদস্য আকরাম খান সেই গুঞ্জনকে একদমই উড়িয়ে দিয়েছেন। ওয়াসিম আকরামের বিষয়ে ওঠা মৃদু গুঞ্জনও নাকচ করে দিয়েছন তিনি। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান বলেন, “সৌরভের বাংলাদেশের কোচ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।”
কারণও ব্যাখ্যা করেন আকরাম। আর সেই কারণ ব্যাখ্যা করেত গিয়েই তিনি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরামের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেন।
“সৌরভ ব্যস্ত মানুষ। তার আসলে প্রধান কোচ হওয়ার ইচ্ছা তেমন নেই। তবে পরামর্শক হিসেবে তাকে কখনো চাইলে হয়ত আমরা পাব। ওয়াসিম আকরামের বেলায়ও একই অবস্থা।”
বাংলাদেশের কোচ নিয়োগের ব্যাপারে সৌরভের প্রসঙ্গ আসার যথেষ্ট কারণ আছে। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময়, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ভারতের সাবেক অধিনায়ক বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেলে তিনি ভেবে দেখবেন।
শেন জার্গেনসেনের বিদায়ের পর বাংলাদেশ নতুন কোচ খুঁজছে। স্বাভাবিকভাবেই এ দেশে ব্যাপক জনপ্রিয় সৌরভের বিষয়ে দলের ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে।
মাস দেড়েকের মধ্যেই নতুন কোচ খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ নিয়োগ কমিটি। বাংলাদেশের নতুন কোচ হওয়ার ব্যাপারে কে এগিয়ে আছে, এটা বলতে চাইছে না কমিটি।
সৌরভের সঙ্গে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো কথা হয়নি বলে জানান আকরাম। তার কথায় বোঝা যায়, সৌরভের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না ধরে নিয়েই তার দিকে এগোতে চাইছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তবে সৌরভের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যে আলাপ হয়েছে, তাতে ভারতের সাবেক অধিনায়কেরও কোনো দলের পূর্ণকালীন কোচ হওয়ার ইচ্ছে নেই বলে মনে হয়েছে আকরামের।
তাহলে কে হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পরবর্তী কোচ? আকরাম নির্দিষ্ট করে কারো নাম বলতে না চাইলেও ‘হাই-প্রোফাইল কোচই বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে ৭/৮ জন কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে কোচ নিয়োগ কমিটির। এদের মধ্যে কেউ এখন অন্য কোনো জাতীয় দলে কাজ করছেন। কেউ আবার অতীতে কোনো জাতীয় দলে কাজ করে এসেছেন।
নাম জানাজানি হয়ে গেলে বর্তমান কর্মক্ষেত্রে তাদের অসুবিধা হতে পারে বলেই আকরাম কারো নাম প্রকাশ করতে চাইছ্নে না।
“দেশের স্বার্থেই আমরা এখন কারো নাম উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। জানাজানি হয়ে গেলে তাদের বর্তমান কর্মক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। আর এর ফলে আমাদেরও তাদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।”



মন্তব্য চালু নেই