সৌদি আরব নিয়ে অবাক করা ১৭টি তথ্য

সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ। এ দেশটি বেশ কয়েকটি কারণে বিশ্বে পরিচিত। এ লেখায় থাকছে তেমন কিছু তথ্য। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।

১. বিভিন্ন অপরাধে সৌদি আরবে প্রচুর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। গড়ে এ সংখ্যা প্রায় প্রতি দুই দিনে একজন করে। এ বছর এখন পর্যন্ত ১৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২. সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বিশাল একটি উটের বাজার রয়েছে। রিয়াদে প্রতিদিন প্রায় একশ উট বিক্রি হয়।

৩. সৌদি আরবে রয়েছে সুবিশাল কয়েকটি তেলক্ষেত্র। এসব তেলক্ষেত্রে রয়েছে ৭৫ বিলিয়ন ব্যারেল তেল।

৪. সৌদি আরবে কোনো নদী নেই। নদীবিহীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ এটি।

৫. বিশ্বে একমাত্র সৌদি আরবেই নারীরা গাড়ি চালাতে পারে না।

৬. সৌদি আরবের জনসংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে টেক্সাসেরঅর্থনীতি সৌদি আরবের চেয়ে অনেক বড়।

৭. সৌদি আরবের জিডিপির ৪৫ শতাংশ আসে তেল থেকে। এটি ইরাক, মরক্কো, রুয়ান্ডা ও টংগার একত্রিত অর্থনীতির চেয়েও বেশি।

৮. সৌদি আরবে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন। প্রায় এক কিলোমিটার উঁচু হবে এ ‘জেদ্দা টাওয়ার’ নামে ভবনটি।

৯. কিংডম টাওয়ার নামে একটি সুউচ্চ ভবন নির্মিত হচ্ছে সৌদি আরবে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ১.২৩ বিলিয়ন ডলার।

১০. সৌদি আরব ও জর্ডানের মাঝে জিক-জ্যাক বর্ডারের পেছনে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। জানা যায়, চার্চিল কায়রোতে একটি পানীয় উদ্বোধনের পর সে অবস্থাতেই একট কলমের সাহায্যে এ বর্ডার আঁকেন।

১১. সৌদি আরবের ৬০ শতাংশ শ্রমিকই বিদেশী। সৌদি আরবের যাবতীয় নির্মাণকাজেই বিদেশিদের অবদান রয়েছে।

১২. সৌদি আরবের নারী কর্মজীবীদের সংখ্যা অন্য দেশের তুলনায় বেশ কম। এটি মোট শ্রমশক্তির প্রায় ২০ শতাংশ।

১৩. সৌদি আরবে তরুণ জনসংখ্যার হার বেশি। ৪৭ শতাংশ জনসংখ্যার বয়স ২৪ বছরের কম। অ্যিদিকে ৬০ বছরের উর্ধ্বে জনসংখ্যা মাত্র পাঁচ শতাংশ।

১৪. সৌদি আরবের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে নয় বরং বিপুল সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্জিত হচ্ছে (সূত্র এইচএসবিসি চার্ট)।

১৫. সৌদি আরব সম্প্রতি ছয়টি ‘অর্থনৈতিক শহর’ তৈরি করছে। এগুলো অর্থনীতিকে গতিশীল করবে এবং তেল নির্ভরতা কমাবে।

১৬. সৌদি আরব সামরিক বাহিনীর পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে। এটি আফগানিস্তানের মোট জিডিপির চার গুণ বেশি।

১৭. তেলনির্ভর হওয়ার কারণে তেলের দাম বাড়লে সৌদি আরবের অর্থনীতি গতিশীল হয়। অন্যদিকে তেলের দাম কমলে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডেইলি সান



মন্তব্য চালু নেই