সোয়া লাখ যক্ষ্মা রোগী নিখোঁজ

রাজধানীসহ সারা দেশে ১ লাখ ৩৫ হাজার যক্ষ্মা রোগী নিখোঁজ। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) আওতায় বর্তমানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সুচিকিৎসার সুযোগ থাকলেও নিখোঁজ এসব যক্ষ্মা রোগীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিপুলসংখ্যক যক্ষ্মা রোগী চিকিৎসাসেবার বাইরে থাকায় তাদের সংস্পর্শে নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াল ডিজিজেজ কন্ট্রোল (এমবিডিসি) ও লাইন ডিরেক্টর টিভি/লেপ্রোসি ডা. রুসেলি হক।

তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে বাংলাদেশে মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু সর্বশেষ ২০১৬ সালে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে এখনও ১ লাখ ৩৫ হাজার আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে না অর্থাৎ শতকরা ৩৯ থেকে ৪০ ভাগ যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণের বাইরে থেকে যাচ্ছে। এসব রোগীকে খুঁজে বের করে শনাক্ত করা এখন এনটিপির বড় চ্যালেঞ্জ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সহযোগী সংস্থাসমূহের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন এনটিপির ফোকাল পারসন (ডিআর-টিবি, টিবি/এইচআইভি অ্যান্ড টিবি-আইসি) মেডিকেল অফিসার ডা. নাজিস আরেফিন সাকি।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইউএসএআইডির ঢাকা-বাংলাদেশ এর সিনিয়র ইনফেকসাস ডিজিসেস অ্যাডভাইজার চার্লস লারমেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশস্থ উপ-প্রতিনিধি ড. এডউইন সালভাদর, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স ফর হেলথ কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর ওসকার করডন ও এনটিপি কর্মকর্তা ভিকারুননেসা বেগম, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ব্র্যাকের কর্মসূচি প্রধান সায়লা প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই