সোয়াইন ফ্লু নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ভারতের সোয়াইন ফ্লু বিস্তারের কারণে বাংলাদেশের মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে এক জরুরি সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী বলেন, সোয়াইন ফ্লুসহ যেকোনো সংক্রামক রোগের বিস্তার মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রস্তুত।
এ সময় বাংলাদেশে যাতে এর সংক্রমণ না ঘটে এজন্য আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপসহ জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
সভায় জানানো হয়, সোয়াইন ফ্লু বিস্তার প্রতিরোধে ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ে মেডিকেল সার্ভিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার জেলাগুলোতে এই দলগুলোকে সার্বক্ষণিক সতর্ক করে রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এ সময় প্রয়োজনীয় ঔষধ সংগ্রহ ও মজুদ করার জন্য নির্দেশ দিয়ে বলেন, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালসহ দেশের ৬৪টি জেলা হাসপাতালে এ জন্য পৃথকভাবে বিশেষ ইউনিট খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। যদি কোনো ব্যক্তি সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হন তবে সাথে সাথে তাকে ঐ ইউনিটে প্রেরণ করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় তিনি সোয়াইন ফ্লু’র মতো বিশেষ রোগের জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্স তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ঢাকা বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে স্থাপিত সাতটি থার্মাল স্ক্যানারকে বিদেশ থেকে বিশেষ করে ভারত থেকে আগত যাত্রীদের জ্বর পরীক্ষার কাজে ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দিয়ে বলেন, সব বন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখানে কর্তব্যরত মেডিকেল টিমগুলোকে সতর্ক থেকে এই সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, এ ধরনের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সবসময় সফল হয়েছে। সম্প্রতি আফ্রিকার ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও দেশে যে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে তা সফলভাবে কার্যকর হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নুরুল হক, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক, মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সিভিল এ্যাভিয়েশনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ অন্যরা ঢাকা বিমানবন্দরে বিশেষ মেডিকেল টিম এবং স্থাপিত থার্মাল স্ক্যানারের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য চালু নেই