সোনালীর জিএম ননী গোপালের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন
হলমার্ক কেলেঙ্কারির চার্জশিটভুক্ত আসামি সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ননী গোপাল নাথের বিরুদ্ধে নন-সাবমিশন মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ‘নন-সাবমিশন’ মামলার অনুমোদন দেয় কমিশন। শিগগিরই মামলাটি দায়ের করা হবে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে দায়েরকৃত ৩৮ মামলার চার্জশিটভুক্ত অন্যতম আসামি সোনালী ব্যাংকের জিএম ননী গোপাল নাথ বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন।
এ বিষয়ে দুদক সূত্র জানায়, ২০১২ সালে ননী গোপাল নাথের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাবতীয় সম্পদের হিসাব চেয়ে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিস করা হয়। কিন্তু নোটিস গ্রহণ করা সত্ত্বেও তিনি কমিশনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব দাখিল করেন নি। এতে কমিশন ননী গোপাল নাথের বিরুদ্ধে এ মামলার অনুমোদন দিয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় এ মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান এ অভিযোগ অনুসন্ধান করেছেন। সোনালী ব্যাংকের বরখাস্তকৃত জিএম ননী গোপাল নাথ চট্টগ্রাম জেলার মীরেরসরাই থানার মিঠাছড়া গ্রামের জগেন্দ্র কুমার নাথের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকায় টিকাটুলিতে থাকেন।
২০১২ সালের অক্টোবরে ফান্ডেড ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১১ মামলা ও পরবর্তীতে ফান্ডেড আরো ৩৭২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরো ২৭টি মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ওই মামলা চার্জশিট আদালতে দাখিল করে।
মন্তব্য চালু নেই