বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ টুর্নামেন্ট

সেমিতেই চোখ ডি ক্রুইফের

বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ টুর্নামেন্ট শুরু হতে বাকি আর মাত্র চার দিন। শনিবার ঢাকায় এসে দলে সঙ্গে যোগ দিযেছেন কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ। খুব কম সময়ই পাচ্ছেন তিনি দলকে পরখ করার। তবে বিকেলে বিকেএসপিতে জাতীয় দলের অনুশীলনে ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। পড়ন্ত বিকেলে মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ নিয়ে তার ভাবনা, লক্ষ্য ও দলটির বর্তমান অবস্থা।

দলের সার্বিক অবস্থা নিয়ে ক্রুইফ বলেছেন, ‘গত চার সপ্তাহ ধরে টিটু (সহকারী কোচ) দলটির দ্বায়িত্বে রয়েছে। তারা নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছে। দলে বেশ যোগ্য খেলোয়াড় আছে। তারা পুরোপুরি ফিট।’ সময় কম এটি কি সমস্যা হিসেবে দেখছেন? ‘না, আমি অনেক দূরে থাকলেও দলের সাথে যোগাযোগ ছিল। ছেলেরা নেপাল, শ্রীলঙ্কা, জাপানের বিপক্ষে খেলেছে। তাদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। তাই আমরা প্রতিটি ম্যাচ থেকেই আমাদের প্রাপ্য ৩ পয়েন্ট বুঝে নিতে চাই’ জানিয়েছেন ক্রুইফ।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ক্রুইফের লক্ষ্য কি? তিনি জানিয়েছেন, ‘অবশ্যই প্রতিটি ম্যাচে ভালো করা। টার্গেট সেমিফাইনাল খেলা, তারপর ফাইনাল। তবে খেলাটি যেহেতু ফুটবল, অনেক কিছুই ঘটতে পারে। এমনকি রেফারির একটি হলুদ কিংবা লাল কার্ডও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাই এ সকল বিষয় সামনে রেখেই একজন কোচকে এগিয়ে যেতে হয়’।

তবে তিনি এও বলেছেন, ‘আমি কোন জাদুকর নই, আমার সময় প্রয়োজন।’ সময় কম হলেও আত্ববিশ্বাসী তিনি। জানিয়েছেন, ‘আমি প্রথমবার কাজ করছি না। বাংলাদেশ সম্পর্কে আমার পূর্ণ ধারণা আছে। তাই দলটির কাছ থেকে আমি ভালো কিছু আশা করছি। জানি আমি দলটির কাছ থেকে অনেক দূরে (হল্যান্ড) ছিলাম, এর মানে এই নয় আমি দলটি থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। ইন্টারনেটের সুবাদে আমি দলটির ছায়া সঙ্গী ছিলাম।’

এ গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের সঙ্গী মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কা। কোচের দৃষ্টিতে দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে এগিয়ে আছে মালয়েশিয়া। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়া দলটির বেশ কিছু ভিডিও দেখেছি। ফিফা র্যাং কিংযে বাংলাদেশের থেকে বেশ এগিয়ে তারা। তবে তারা তাদের অনূর্ধ্ব-২৩ দল পাঠাচ্ছে। আর শ্রীলঙ্কা দলটির সাথে বেশ কিছুদিন আগেও আমরা মুখোমুখি হয়েছি। দলটি তেমন শক্তিশালী নয়। তাই মূল লড়াইটা মালয়েশিয়ার সাথেই হবে আমাদের।’

দুই সপ্তাহের জন্য জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে বাংলাদেশে এসেছেন ডি ক্রুইফ। টুর্নামেন্ট শেষে চলে যাবেন হল্যান্ডে। এই কোচের কাছে দীর্ঘমেয়াদী দায়িত্ব দেয়ার ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা নেই বাফুফের।



মন্তব্য চালু নেই