সেই সম্পাদক বাকশালী দলের মন্ত্রী : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ১৯৭৫ সালের ইতিহাস টেনে বলেছেন, ‘বর্তমানে সংবাদপত্রের কোনো স্বাধীনতা নেই। সাংবাদিকরা যা দেখে তার অনেক কিছুই লিখতে পারে না। অন্য অফিসের কর্মচারীরা যেমন বেতন নেয়, সাংবাদিকরাও তেমন বেতন নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘৭৫ সালের আজকের এই দিনে দৈনিক ইত্তেফাক বন্ধ ছিল। আর বর্তমানে ওই পত্রিকার সম্পাদক সেই বাকশালী দলের মন্ত্রী।’
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস পালন উপলক্ষে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদপত্রের মালিকদের প্রতি গয়েশ্বর বলেন, ‘জাতীর জন্য, গণতন্ত্রের জন্য সংবাদপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে মালিকপক্ষ ভাববেন না এর বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র শুধু সাংবাদিকদের জন্য নয়। সংবাদপত্র ছাড়া গণতন্ত্রের বিকাশ হয় না। আওয়ামী লীগ অনেক টেলিভিশন, পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে। লাইসেন্স বাতিল করেছে। বর্তমানেও পত্র পত্রিকার স্বাধীনতা হরণ করে চলেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনকে উম্মাদের সংবাদ সম্মেলন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তাতে শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনকে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বললে জাতির সম্মান নষ্ট হবে, জাতি লজ্জিত হবে।’
‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রিমান্ডে নিলে জিয়ার খুনীদের নাম বেরিয়ে আসবে’ শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, ‘খালেদা ও তারেককে নয়, শেখ হাসিনাকে রিমান্ডে নিলে জিয়াউর রহমানের খুনীর নাম বেরিয়ে আসবে।’
বিএনপির এই নেতা সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশ-বিদেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনেক সুনাম আছে। তাই দয়া করে র্যাব থেকে সেনাবাহিনীর সকল সদস্য প্রত্যাহারের করুন।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের রহমাতুল্লার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রিপন প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই