সুস্থতা নিশ্চিত করতে…

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজ গোছানোর তাড়া। তারপর উর্ধ্বশ্বাসে অফিসে ছুটে চলা। অফিস শেষে বাসায় ফিরে অন্যান্য কাজের ফাঁকে একটুখানি ঘুম। পরদিন সকালে আবারও একই রুটিন। তাই সপ্তাহ শেষে সমস্ত ক্লান্তি আর অবসাদ এসে ভর করে আপনার ওপর।

ছুটির দিন জুড়ে আর কিছুই নয়, শুধুই ঘুম। কেউ ভাবেন সারাদিন বাইরে ঘুরে বেড়াবেন। কেউ আবার পরিকল্পনা করেন সারা সপ্তাহের জমানো ময়লা কাপড় ধুয়ে সাফ করবেন সকালের মধ্যেই। তাছাড়া ছুটির একটা দিনে ভালো রান্নার আয়োজন থাকতেই পারে। অবশেষে দেখা যায়, এই দিনে আপনার পরিশ্রম বেড়ে যায় কর্মদিবসের দ্বিগুন। নিজের বিশ্রামের কথা একেবারে ভুলে যান। অথচ নিজের সুস্থতা ধরে রাখতে ছুটির দিনকে আদর্শ সময়ে পরিণত করতে পারেন।

ঘুম

ছুটির দিনে পুরোটা সময় বাসায় থাকার সুযোগ। এই ভেবে অনেকেই অফিস শেষে বাসায় ফিরে যোগ দেন রাজ্যের কাজে। হাতের সব কাজ শেষ করে ঘুমাতে যান অনেক রাতে। কিন্তু এটা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এমনিতে সারা সপ্তাহের ক্লান্তি ভর করে আছে আপনার শরীরে। তার ওপর বাসায় ফিরে একাধারে কাজ করে যাচ্ছেন অনেকটা সময় জুড়ে। অথচ সপ্তাহের অন্যান্য দিনে তাড়াতাড়িই ঘুমান। এই একদিনের অনিয়মই আপনাকে অসুস্থ করে দিতে যথেষ্ট। তাই অন্যান্য দিনের নিয়মে ঘুমিয়ে পড়ুন।

ঠিক সময়ে ওঠা

ছুটির একটা দিন পেয়ে অনেকে একটু বেশি ঘুমানোর চেষ্টা করেন। অনভ্যাসে বেশি ঘুমানো অবসাদের জন্ম দেয়। ফলে অন্যান্য কাজেও আপনি যত্নশীল হতে পারেন না। জমিয়ে থাকা কাজগুলো রয়ে যাবে অবহেলায়। তাছাড়া কম ঘুম যেমন দেহের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি বেশি ঘুমানোও ক্ষতিকর।

স্বাভাবিক কাজ

জমিয়ে রাখা সব কাজই ছুটির দিনে করে নেয়ার অভ্যাস আছে অনেকের। এই অভ্যাস খুবই ক্ষতিকর। এতে করে মানসিক শান্তি নষ্ট হয়। তাই প্রতিদিনই অল্প করে কাজ গুছিয়ে রাখলে ছুটির দিন বিশ্রাম নেয়া যায়। কাজের তাড়া না থাকায় দিনভর থাকতে পারেন মনের আনন্দে।

সাধারণ খাবার খাওয়া

অফিসে থাকায় ঠিকমতো রান্নার সুযোগ হয় না সব সময়। মাঝে মাঝে বাইরের খাবার খেতে হয়। এতেই পেটের অবস্থা করুন থাকে। তার ওপর অনেক বাসায় ছুটির দিন ভেবে পোলাও, মাছ, মাংস বা তেল-চর্বির আধিক্য রেখে খাবার আয়োজন হয়। এসব খাবার আপনার পেটকে আরও খারাপ করে দিতে পারে। তাই ছুটির এই দিনে শাক-সবজি আর ছোট মাছ বেশি করে খেতে পারেন। কিছুটা হলেও সারা সপ্তাহের সবজির পুষ্টি মিটবে।

প্রিয় মানুষকে সঙ্গ দেয়া

ছুটির দিনে প্রিয় মানুষকে সঙ্গ দিতে পারেন। এতে যেমন সম্পর্কের উন্নতি হবে, ঠিক তেমনি আপনিও থাকবেন শান্তিতে। সঙ্গীর সঙ্গে সব কথা ভাগাভাগি করতে পারলে আপনিও থাকবেন অনেকটা নির্ভার। মন ফুরফুরে থাকলে আপনার হার্ট ভালো থাকবে।

রুটিন পরিবর্তন

প্রতি ছুটিতে একই ধরণের কাজ করার অভ্যাস থাকলে পরিবর্তন করুন। একেক ছুটিতে একেক কাজ করতে পারেন। কোনোদিন ঘুরতে, শপিং করতে, কারো বাসায় যেতে বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এগুলো খুবই ভালো হবে। একঘেয়েমী কেটে যাবে একেবারে।



মন্তব্য চালু নেই