সুদৃশ্য ক্যাপসিকামের অসাধারণ গুণ
সবজির তালিকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সুদৃশ্য ক্যাপসিকাম। দেশীয় সবজি না হলেও চাহিদা মেটাতে এর চাষ বাড়ছে। ক্যাপসিকাম লাল, হলুদ, কমলা ও সবুজ বর্ণে পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রামে ক্যাপসিকামে রয়েছে ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ৪.৬ গ্রাম, চর্বি ১.৭০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৮০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-এ ৩৭০ আইইউ, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, আয়রন ৩৮০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৭৫ মিলিগ্রাম ও ফসফরাস ২০ মিলিগ্রাম। এছাড়া সামান্য পরিমাণ ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-বি৬, থায়ামিন, লেবোফ্লেবিস ও ফলিক এসিড, জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও ফ্লোরাইড সামান্য পরিমাণে পাওয়া যায়। হলুদ ক্যাপসিকামে আছে প্রচুর লটিন ও জ্যানথিন, লাল ক্যাপসিকামে জ্যানথিন ও লাইকোপিন, কমলায় আছে প্রচুর আলফা, বিটা ও গামা ক্যারোটিন। ক্যাপসিকাম আমাদের দেহের নানা ধরনের উপকার সাধন করে থাকে। আসুন জেনে নেয়া যাক, সুদৃশ্য ক্যাপসিকামের গুণ সম্পর্কে।
* ক্যাপসিকামের ক্যাপসাইসিনস নামক উপাদান ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যানসার সৃষ্টিকারী জীবানুকে ধ্বংস করে।
* চামড়া পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী, এটি চামড়ার র্যাশ হওয়া ও ব্রণ প্রতিরোধ করে।
* ক্যাপসিকাম যেকোনো ব্যথা যেমন- মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে।
* ক্যাপসিকাম দেহের বাড়তি ক্যালরি পূরণে কাজ করে। ফলে উচ্চ চর্বি থেকে যে ওজন বৃদ্ধি পায়, তা হ্রাস করে।
* সি সিকনেস (সমুদ্রে যাওয়ার কারণে তৈরি অসুস্থতা), ম্যালেরিয়া, জ্বর ইত্যাদি রোধে ক্যাপসিকাম বেশ কার্যকর।
* ক্যাপসিকামে থাকা অ্যালকালোয়েড, ফ্লেবোনয়েড, ক্যানিন ইত্যাদি পাওয়া যায়। অ্যালকালোয়েড অ্যান্টি-ইনফ্লামেটোরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ক্যানিন আন্ত্রিক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
* এতে থাকা ভিটামিন-সি মস্তিষ্কের টিস্যুকে পুনরুজ্জীবিত করে; দেহের হাড়কে সুগঠিত করে। এটি বার্ধক্যজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে।
* লাইকোপিন প্রোস্টেট ক্যানসার, সার্ভিক্যাল ক্যানসার ও ওভারিয়ান ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে।
মন্তব্য চালু নেই