সুখের জন্য নিজের সন্তানকে নির্মম ভাবে হত্যা করল মা!

যশোরে দ্বিতীয় স্বামীর সংসার টেকাতে প্রথম স্বামীর শিশু কন্যাকে হত্যা করেছেন এক মা। সুরাইয়া আক্তার দিয়া নামে পাঁচ বছরের ও শিশুকন্যাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। এ কাজে সহায়তা করে শিশুর সৎ বাবা।

মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড় বেলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় শিশুটির মা আছিয়া বেগম ও সৎ বাবা সোহানকে আটক করে এলাকাবাসী পুলিশে দিয়েছে। আটক সৎ বাবা সোহান একই এলাকার কেফায়েতনগর গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে।

এলাকাবাসী ও পুলিশের ভাষ্য, মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটিকে তার মা ও সৎ বাবা মিলে বালিশ চাপা দিয়ে ধরে। কিন্তু শিশুটি তখনও বেঁচে ছিলো। একপর্যায়ে বিকেলের দিকে বসুন্দিয়া মোড়ে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। এরপর শিশুটিকে যশোরে এক হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

শিশুর মৃতদেহ বাড়ি ফিরে আনলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

বসুন্দিয়া মোড় বেলতলা এলাকায় আলাউদ্দিন জানান, শিশুটির মা আছিয়া বেগম তার নাতনি। এর আগে কুষ্টিয়ায় সবুজ নামে একজনের সাথে বিয়ে হয় আছিয়ার। সেখানে বিচ্ছেদ ঘটলে তার (আলাউদ্দিন) বাড়ি চলে আসে। তার বাড়িতে থাকার সময় কেফায়েতনগর গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে সোহানকে বিয়ে করে সে। কিন্তু আছিয়ার ঘরে শিশু সন্তান থাকায় সোহানের পরিবার মেনে নিচ্ছিলো না। এলাকার লোকজন জোর করে আছিয়াকে সোহানের ঘরে তুলে দিলেও পরিবারের লোকজন পরে তাদের তাড়িয়ে দেয়। এ অবস্থায় আছিয়া ও সোহান মিলে শিশুটিকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার আক্কাস আলী বলেন, শিশুটিকে হত্যার অভিযোগে শিশুটির মা আছিয়া বেগম ও সৎ বাবা সোহানকে আটক করে এলাকার মানুষ। পুলিশ খবর পেয়ে তাদের দুই জনকে থানায় নিয়ে এসেছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই