সীমান্তে এক দশকে হাজারেরও বেশি হত্যা

সীমান্তে বিএসএফের গুলি এবং নির্যাতন গত কয়েক দশকের এক আলোচিত ঘটনা। এক দশকে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুতে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাংলাদেশে। ভারতের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও নানা সময় এ নিয়ে সমালোচনা করে আসছে, সে দেশের উচ্চ আদালতেও গেছে এসব সংগঠন।

দুই দেশের সরকার পর্যায়ে এ নিয়ে কথা হয়েছে বারবার। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যেও আলোচনায় বারবার এসেছে সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গ। হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান। তবু বন্ধ হচ্ছে না বিএসএফের হত্যা।

সবশেষ গত জুনে মাসে চারজন বাংলাদেশিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে। একজনকে অপহরণ করা হয়েছে।

গত ২৫ জুন নঁওগার পোরশা উপজেলার হাপানিয়া সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হামলায় জহুরুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি নিহত হন। জহুরুলের শরীরের ককটেলের স্প্রিন্টারের আঘাত ও পিঠে লোহা দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

১১ জুন একই জেলার সাপাহার সীমান্তে বিএসএফ শহীদুল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশিকে গলা কেটে হত্যা করে।

অভিযোগ আছে, বিএসএফ এর বেপরোয়া আচরণের কারণেই সীমান্ত লাশ হতে হচ্ছে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষকে।

মানবাধিকার কর্মী সালমা আলী বলেন, ‘সীমান্তের হত্যা বন্ধ করতে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো উদ্যোগেই কাজ হচ্ছে না। বিজিবি-বিএসএফ অনেক বৈঠক করেছে। বৈঠকে সব শর্ত মানার কথা বললেও বাস্তবে বিএসএফ করে উল্টো’।

জানতে চাইলে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এটিকে শূন্যে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করছি। এটি চলমান প্রক্রিয়া’।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত আছে চার হাজার ৯৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে দুই হাজার ২১৬ কিলোমিটারেই সবচেয়ে বেশি হত্যার ঘটনা ঘটে।

মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্যমতে, ২০০০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্তু সীমান্তে বিএসএফ বা ভারতীয় সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১১শ’ বাংলাদেশি।



মন্তব্য চালু নেই