সিলেকশন গ্রেড ভেবে দেখার আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর
সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আমি প্রথমেই এই পদ্ধতির পক্ষে ছিলাম না। আপনাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে আমার ধারণা সঠিক ছিল। তবে আবারও সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেলের বিষয়টি ভেবে দেখা হবে।
মঙ্গলবার পদবঞ্চিত ও সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এসব কথা বলেন। শেরে বাংলানগরে অবস্থিত অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের(ইআরডি) সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পদবঞ্চিত সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) সমন্বয় কমিটি মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় পদবঞ্চিতরা মন্ত্রীর কাছে নিজেদের ক্ষোভ ও দুঃখের কথা উপস্থাপন করেন।
মন্ত্রী বৈঠকে বলেন, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড এক সঙ্গে দুটি রাখার পক্ষে না। এর মধ্যে যেকোনো একটি বাদ দেবো। এই ব্যবস্থা সম্পর্কে আমার ভালো ধারণা নেই।
বৈঠকে বিসিএস সমন্বয় কমিটি একই সঙ্গে প্রস্তাবিত বেতনস্কেলে আগের মত সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল বহালের দাবি জানায়।
কমিটির দাবি, সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল রাখলে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যান্য ক্যাডার ও সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ সময় মন্ত্রীর কাছে বলা হয়, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিজস্ব ক্যাডার তফসিলের নির্ধারণ পদের(লাইনপদে) বাইরে গিয়ে সরকারের বিশেষ পদ হিসেবে চিহ্নিত উপসচিব পদ দেওয়া হয়।
অপরদিকে পদ না থাকার অজুহাতে অন্যান্য ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের একই পদে বছরের পর বছর বসে রাখা হয়েছে। টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের কারণে এই বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার অন্য কর্মকর্তারা যাতে কার-লোন পান, সেই বিষয়টিও মন্ত্রীকে বিবেচনা করতে বলেন। মন্ত্রী সবকিছু বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিসিএস সমন্বয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কবির আহমেদ ভূইয়া, মহাসচিব ফিরোজ খান ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য যে নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়েছে, তাতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল ব্যবস্থা নেই। তার বিকল্প হিসেবে প্রতিবছর প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ইনক্রিমেন্ট পাবেন।
মন্তব্য চালু নেই