সিরিজ হেরেও কেক কেটে উৎসব করল ধোনিরা

ম্যাচ জেতার পর মাঠেই ফোন এল। নিশ্চয়ই কোনো প্রিয়জনের! মাঠে দর্শকদের চিত্কারের মধ্যে সামান্য কথা৷ তারপর ঢুকে পড়লেন ড্রেসিংরুমে। শান্ত , সংযত এবং তৃপ্ত। সেখানে কেক কাটলেন সতীর্থদের নিয়ে। কেন কেক কাটা হল? জানা কথা, মানুষ সিরিজ জিতলে কেক কাটে। কিন্তু সিরিজ হারলেও যে কেক কাটে- সেটা জানা গেলো এবার। তবে সেটা শুধু বুধবারের ম্যাচ জয়ের জন্য নয়। একটা মওসুম শেষ হল বলে।

বুধবার ম্যাচ শেষে আচমকাই ড্রেসিংরুমে কেক হাজির করে ফেলেন ধোনিরা। ভারতীয় দলের সদস্যরা না কি বলতে থাকেন, দেশের মিডিয়া কোনও দিনই আমাদের পাশে থাকে না। ক্রিকেটবিশ্বের অন্যান্য দেশে যা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান কেউ ওয়ানডে সিরিজ জিতে যেতে পারেনি। ভারত সেখানে গত বছর জিতেছে। এবার শুধু পারেনি। তাতেও এমন জঙ্গি মনোভাব দেখানো হচ্ছে। গোটা মওসুমের সাফল্যকেই অগ্রাহ্য করে দিচ্ছে জাতীয় মিডিয়া। যেখানে কিনা গোটা মওসুমে জয়ের হার পঁচাত্তর শতাংশ।

ভারতীয় দল না কি তাই ঠিক করে ফেলেছে, যে মিডিয়া যা খুশি লিখুক, বলুক, সেটা আর গ্রাহ্য করা হবে না। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ হারকে নয়, অগ্রাধিকার দেওয়া হবে গোটা মওসুমের ক্রিকেট সাফল্যকে। কেক কেটে তাই তার উৎসব উদযাপন করা হলো!

ম্যাচ পরবর্তী ভারতীয় সংসার ঘিরে আরও কিছু কিছু প্রশ্ন থেকেই গেল। ধোনির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠল। গত কয়েকটা দিন তার কেমন গিয়েছে, সেটা জানতে চাওয়া হল। রায়না বলছিলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে এমএসের যা প্রভাব সেটা কি কেউ অস্বীকার করতে পারে? ও শুধু ভাল অধিনায়ক নয়, একজন ভাল মানুষও।’

কিন্তু অধিনায়কের জন্য তো আপনাকে ব্যাটিং অর্ডারে নীচে নেমে আসতে হচ্ছে? এবার রায়না বললেন, ‘ছ’নম্বরে ব্যাট করাটা যে কঠিন, মেনে নিচ্ছি। আগে যেটা এমএস করত, সেটা এখন আমাকে করতে হবে। কিন্তু এটাও ঠিক যে এমএস বহু দিন চার নম্বরে ব্যাট করেনি। অথচ দিনের পর দিন দায়িত্ব নিয়ে টেনে গিয়েছে দেশকে।’

ধোনিকে এ দিন ম্যাচ শেষে ফোন কানে ড্রেসিংরুমে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার বাইরে কিছু করতে দেখা যায়নি। পরে শোনা গেল, জুনিয়র সতীর্থদের নিয়ে আলাদা আলাদা বসে পড়েন ধোনি। আজিঙ্কা রাহানে, ধাওয়াল কুলকার্নিদের আলাদা ডেকে বোঝাতে থাকেন যে, সামনেই অফ সিজন। বসে থাকা যাবে না। কার কোথায় উন্নতি করা প্রয়োজন সেটাও শোনা গেল, জুনিয়র সতীর্থদের বলে দেন ভারত ক্যাপ্টেন।



মন্তব্য চালু নেই