সিরিজ জেতা হলো না বাংলাদেশের

ঘরের মাঠ, চেনা দর্শক। সাগরিকার পাড়ে আরেকটা উৎসবের মঞ্চ প্রস্তুতই ছিল। প্রস্তুত ছিলেন কুশীলবরাও। সঙ্গে ভিলেন হয়ে ওঠার আভাস ছিল বৃষ্টির। শেষপর্যন্ত অবশ্য ভিলেন ছাড়াই নাটক মঞ্চস্থ হলো। তাতে কেবল নায়ক হয়ে ওঠা হলো না বাংলাদেশ দলের। বীর চট্টলায় লেখা হলো না আরেকটি ইংলিশ বধের মহাকাব্য। বুধবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কৃত্রিম আলোকে বিবর্ণ করে দিয়ে পারফরমেন্সের আলো জ্বালিয়ে দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড দল। তৃতীয় ওয়ানডেতে ৪ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয়ের সঙ্গে সিরিজটাও ২-১ ব্যবধানে পকেটে পুরেছে সফরকারীরা।

অলিখিত ফাইনাল হয়ে ওঠার ম্যাচে দারুণ শুরু করে মাঝের ছন্দপতনের পরও চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহই গড়েছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডকে ২৭৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল স্বাগতিকরা। জিততে হলে তাই ইংল্যান্ডকে রেকর্ড গড়তে হতো। এই মাঠে রান তাড়া করে জয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ডটি যে ২২৬ রানের! সেটিও আবার এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ২০১১ সালে করে দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। সফরকারীরা সেটাকে কেবল পরিসংখ্যান বানিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে বিষাদে ডুবিয়ে ম্যাচ ও সিরিজ নিজেদের করে নিলো।

তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে চট্টগ্রামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের ফিফটি ও ইমরুল কায়েস, তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমানের ফিফটির কাছাকাছি ইনিংসে এই সংগ্রহ গড়ে টাইগাররা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৩ বল হাতে রেখে ও ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ে নোঙর ভিড়িয়েছে ইংল্যান্ড।



মন্তব্য চালু নেই