স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতা

সিরাজগঞ্জ জেলা জুড়ে তোলপাড়

রাজধানীতে স্বর্ণ চোরাচালনের সাথে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনের নাম বের হয়ে আসায় সিরাজগঞ্জ জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন মিডিয়াতে বিষয়টি প্রচারিত হলে আড়ালে আবডালে চলছে নানা কথা। তবে সিরাজগঞ্জে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ কেউ কিছু বলতে রাজি হননি। তবে এটি ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন তারা।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের চিলগাছা গ্রামের সমতুল্লহ মন্ডলের পুত্র সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন। তার পিতা পাকিস্তান আমল থেকে ধর্ণাঢ্য কৃষক। ৩ ভাই ৪ বোনের মধ্যে রিয়াজ উদ্দিন সবার বড়। ব্যবসার বানিজ্যের মধ্যে দিয়ে তার উত্থান।
স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে ভালো মানুষ হিসেবে জানলেও গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ২৯/১ পুরানা পল্টনে ‘ঠিকানা’ নামের বাড়িতে মোহাম্মদ আলীর দুটি ফ্ল্যাট থেকে ৫২৮টি সোনার বার যার মোট ওজন সাড়ে ৬১ কেজি ও বিদেশী মুদ্রা আটকের সাথে এই আওয়ামীলীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিনের নাম বেরিয়ে আসলে এলাকায় তোলপাড় সুষ্টি হয়। তিনি গরীব অসহায় মানুষের চিকিৎসা সেবা, মেয়েদের বিয়ে, মসজিদ, মাদ্রসার উন্নয়নের আর্থিক অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন।
তার ছোট দুই ভাই হায়দার আলী ও ইয়ার মাহমুদ। হায়দার আলী ঢাকায় ব্যবসা করেন আর ইয়ার মাহমুদ সিরাজগঞ্জে বাসের ব্যবসার পাশাপাশি ষ্টক ব্যবসা করে আসছেন। ৩ কন্যা ও ১ পুত্রের জনক রিয়াজ উদ্দিন। ২ মেয়ে ডাক্তার আর পুত্র ইঞ্জিনিয়ার বলে জানা গেছে।
স্বর্ণ চোরাচালনের সাথে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনের নাম বের হয়ে আসায় সিরাজগঞ্জ জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই