সিম নিবন্ধনের কাগজ যাচাই করা হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে

বর্তমানে একাধিক সিম কার্ড দিয়ে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হয়। তাই বেআইনী নিবন্ধিত সিম কার্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।

নিরাপত্তা উদ্বেগের করনে বিটিআরসি এবং মোবাইল ফোন অপারেটর একসাথে কাজ শুরু করে দিয়েছে ইতোমধ্যে।

বিটিআরসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেস সম্বলিত সার্ভার আগামি নব্বই দিনের মধ্যে উন্নত করা হবে।

তিনি আরও বলেন সার্ভারটির কার্যক্রম তৃতীয় পক্ষের কোন প্রতিষ্ঠান দ্বারা চালান হবে। একবার সিস্টেমটি প্রয়োগ করার পর একটি টেক্সট পাঠানোর মাধ্যমে গ্রাহকের ডকুমেন্টের সত্যতা সেকেন্ডের মধ্যেই যাচাই করা যাবে।

এই পদ্ধতিতে গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম ও জন্ম তারিখের ভিত্তিতে সিমের সাথে দেয়া ডকুমেন্টের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। না মিললে সিম কার্ডটি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করবে না।

ডকুমেন্ট যাচাইয়ে নিজ নিজ অপারেটরের প্রতিবারের জন্য দিতে হবে তিন টাকা।

নিয়ম অনুযায়ী, আঠার বছরের উপরে সকল নাগরিককে সিম কার্ড কেনার সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিতে হবে। আঠার বছরের নিচে হলে তাদের অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি লাগবে।

রাজধানীর বিভিন্ন আউটলেট ঘুরে দেখা গেছে গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেলসহ বিভিন্ন অপারেটররা প্রি-আক্টিভেটেড সিম কার্ড প্রদর্শন এবং বিক্রি করছে।

পল্টনে এক খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতা হাসানুল ইলাহি বলেন, ডকুমেন্ট কোন জরুরি বিষয় না। কেউ চাইলেই সিমকার্ড পেতে পারে। এতে কোন সমস্যা নাই।

এর আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করে, কারন দেখা যায় অনিবন্ধীকৃত সিমকার্ড দিয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত করে অপরাধকারিরা।

উল্লেখ্য, এক হিসাবে জানা যায়, বাংলাদেশের ০.১৫ মিলিয়ন মোবাইল সিম কার্ড অপরাধমূলক কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়।



মন্তব্য চালু নেই