সিটি নির্বাচন : স্বতন্ত্র প্রার্থীর লাগবে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর
নারায়ণগঞ্জে দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেউ নির্বাচন করতে চাইলে তাকে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী সোমবার এ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এ সিটিতে ভোট হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর, মনোনয়পত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২৬ ও ২৭ নভেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৪ ডিসেম্বর।
এ নির্বাচনের জন্য জারি করা ইসির পরিপত্র থেকে জানা যায়, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর প্রার্থিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের ৩০০(তিনশ’) স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। তবে কোনো স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে পূর্বে নির্বাচিত হয়ে থাকলে তার জন্য ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা জমা দিতে হবে না। দলীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দলের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।
জামানত : মেয়র পদে নির্বাচন করতে অনধিক ৫ লাখ ভোটার সংবলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ২০ হাজার টাকা, ৫ লাখ ১ হতে ১০ লাখ ভোটার সংবলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ৩০ হাজার টাকা, ১০ লাখ এক হতে ২০ লাখ ভোটার সংবলিত নির্বাচনী এলাকার জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং ভোটার সংখ্যা ২০ লাখের উপর হলে এক লাখ টাকা জামাদানের প্রমাণস্বরুপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডর বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের রসিদ মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
এছাড়া কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে অনধিক ১৫ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ১০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার ১ হতে ৩০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ২০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার ১ হতে ৫০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের জন্য ৩০ হাজার টাকা এবং ভোটার সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি হলে ওই ওয়ার্ডের জন্য ৫০ হাজার টাকা জামাদানের প্রমাণস্বরুপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডার বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের রসিদ মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীর ক্ষেত্রে প্রতিটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জামাদানের প্রমাণস্বরুপ ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডর বা কোনো তফসিলি ব্যাংকের রসিদ জমা দিতে হবে।
মন্তব্য চালু নেই