রাজনীতিতে টার্নিং পয়েন্ট

সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি

ঢাকাসহ দেশের তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে এটা নিশ্চিত। এখন তারা কীভাবে অংশ নেবেন সেটা জানা যাবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে। বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন,‘ অপেক্ষা করুন নতুন চমক নিয়ে আসছে বিএনপি।’

আহমেদ আযম খান জানান,‘ এই মুহূর্তে প্রয়োজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু সরকার তা না দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন দিয়ে নতুন এক কদর্য খেলা শুরু করেছে। কিন্তু এই খেলায় জিততে পারবেন না তারা। বিএনপি সিটি নির্বাচন নিয়ে ভাবছে। এখন কিভাবে এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে সেই কৌশল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’

তিনি জানান, এরই মধ্যে ২০ দলের শরীকদের সঙ্গে কথা শুরু হয়েছে। ৩/৪ দিনের মধ্যে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যেহেতু এই নির্বাচন দলীয়ভাবে হয় না তাই নাগরিক সমাজ অথবা অন্যকোন ব্যানারে বিএনপির প্রার্থীরা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবেন। আর প্রার্থী হবে ২০-দলীয় জোটের পক্ষে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে , তারা মনে করেন ঢাকার দু’টি এবং চট্টগ্রাম এই তিনটি সিটি নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপিসহ ২০-দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা নির্বাচন ইস্যুতে প্রকাশ্যে আসতে পারবেন। আর নির্বাচন যদি মোটামুটি গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে মেয়রসহ অধিকাংশ কাউন্সিলর পদে বিএনপির প্রার্থীরা জিতবে। আর যদি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয় তাহলে বিএনপির ঝিমিয়ে পড়া আন্দোলন চাঙ্গা করার আরেকটি সুযোগ পাওয়া যাবে।

এছাড়া বিএনপি মনে করছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ ঠেকিয়ে রাখা যায় না। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিএনপি লাভবানই হয়েছে। একদিনে নির্বাচন হলে উপজেলায় অধিকাংশ চেয়ারম্যান বিএনপিরই হত। উপজেলার প্রথম দিকের ফলাফল সেই ইঙ্গিতই দেয়। আর এবার যেহেতু ঢাকা ও চট্টগ্রামে একই দিন ২৮ এপ্রিল নির্বাচন হবে, তাই জোর করে ফল নিজেদের পক্ষে নেয়ার সহজ সুযোগ পাবে না সরকার।

টট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বিএনপির দখলে আছে। বিএনপি মনে করে তাই এটা ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফাঁকা মাঠে গোল করা সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না। আর ঢাকায় শাসক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও একাধিক প্রার্থী থাকার সুযোগ পাবে বিএনপি।

আহমেদ আযম খান জানান, বিএনপি যে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী দেবে তা নয়, তারা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে সমর্থন দেবে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং-এর কর্মকর্তা শাইরুল কবির খান জানান,‘ সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলেই আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়নি। আরো দু’একদিন লাগবে।’ তাহলে আন্দোলন এবং হরতাল অবরোধের কী হবে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ তিন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় হরতাল-অবরোধ শিথিল করা হবে যদি বিএনপি নির্বাচনে যায়। আর সারাদেশে হরতাল অবরোধ চলবে।’

তিনি জানান,‘ তবে বিএনপি’র আশঙ্কা নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর না আবার কোন কৌশলে সরকার নির্বাচন বন্ধ করে দেয়।’

প্রসঙ্গত, বিএনপি’র নেতৃত্বে ২০-দলীয় জোট নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে ৬ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে টানা অবরোধ-হরতাল পালন করে আসছে।



মন্তব্য চালু নেই